Coronavirus

Corona Vaccine: টিকা না নিয়েই ফিরল অনেকে

বিভিন্ন কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা নিয়ে সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা বসে থাকলেও এই বয়সের উপভোক্তাদের পর্যাপ্ত সংখ্যায় দেখা মেলেনি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
নদিয়া শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২ ০৭:৩৬
১২-১৪ বছর বয়সিদের করোনা টিকাকরণের প্রথম দিন টিকাই দেওয়া গেল না কৃষ্ণনগর পুরসভা হাসপাতালে। সোমবার। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

১২-১৪ বছর বয়সিদের করোনা টিকাকরণের প্রথম দিন টিকাই দেওয়া গেল না কৃষ্ণনগর পুরসভা হাসপাতালে। সোমবার। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের কর্বেভ্যাক্স টিকাকরণের প্রথম দিন ছিল সোমবার। কিন্তু এ দিন স্বতঃস্ফূর্ত টিকা নেওয়ার ভিড় চোখে পড়ল না। বদলে বেশ কিছুটা জড়তাই যেন দেখা গেল তাদের মধ্যে।

ফলে, প্রথম দিন বিভিন্ন কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক টিকা নিয়ে সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা বসে থাকলেও এই বয়সের উপভোক্তাদের পর্যাপ্ত সংখ্যায় দেখা মেলেনি। উল্টে ১২ থেকে ১৪ বছরের ছেলেমেয়েদের টিকা নিতে আসার সংখ্যা কম হওয়ায় টিকাকরণ হয়নি অনেক জায়গায়। ফলে, কিছু জন আগ্রহী হলেও করোনা টিকা না নিয়েই ফিরে গিয়েছে।

Advertisement

যদিও সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের আশানুরূপ ভাবে টিকা নিতে দেখা গিয়েছে। জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, কোনও কোনও ক্ষেত্রে উপভোক্তা কম থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই টিকাদান কর্মসূচি পুরোপুরি সফল। শান্তিপুর ব্লকের দু’টি স্কুলে এ দিন ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ফুলিয়া বালিকা বিদ্যালয় স্কুলে ২০০ জন এবং ফুলিয়া শিক্ষানিকেতন স্কুলে ২০০ জন পড়ুয়াকে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে সকলেই টিকা নিয়েছে। পাশাপাশি, শান্তিপুরে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ হয়। অন্য দিকে, করিমপুর জগন্নাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছুটা ভিন্ন চিত্র চোখে পড়ে। সেখানে একশো জন পড়ুয়ার টার্গেট থাকলেও এ দিন টিকা নিয়েছে মাত্র ৮২ জন।

জেএনএম হাসপাতালের ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে সোমবার ১২ থেকে ১৪ বছরের ছেলেমেয়েদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ দিন সেখানে ৮০ জন টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। কিন্তু ৬০ জনের বেশি কিশোর-কিশোরী টিকা নিতে আসেনি। হরিণঘাটার বড়জাগুলি গোপাল একাডেমি হাইস্কুলে এ দিন ১০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়।

১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকাদানের প্রথম দিনে নবদ্বীপে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হলেও উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। জনা দু-তিন অভিভাবক কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে এসেছিলেন। দু’-এক জন কেবল ফোনে খোঁজখবর নিয়েই কাজ শেষ করেছেন। হাসপাতাল সুপার বাপ্পা ঢালি বলেন, “কমপক্ষে ২০ জন না হলে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। কেননা, ভ্যাকসিনের বাকি অংশ নষ্ট হয়ে যাবে। তাই এ দিন কাউকে টিকা দেওয়া যায়নি।”

একই দৃশ্য ধরা পড়ে কৃষ্ণনগরের রাজারোড এলাকায় পুরসভার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানেও হাতেগোনা কয়েক জন টিকা নিতে আসেন। কিন্তু এখানেও শেষ পর্যন্ত ২০ জন না হওয়ায় কাউকেই টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। তেহট্ট ১ ব্লকের নাজিরপুর বিদ্যাপীঠে সোমবার ১২ থেকে ১৪ বছরের পড়ুয়াদের টিকাকরণ হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে এ দিন মোট ৮০ জনকে এই টিকা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার নাজিরপুর বালিকা বিদ্যালয়ের পাশাপাশি নাটনা উচ্চ বিদ্যালয়েও এই টিকাকরণ চলবে।

জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা বলছেন, “শুক্রবার রাজ্য থেকে নির্দেশ আসে সোমবার থেকে এদেরকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে, যতটা প্রচার করার প্রয়োজন ছিল, ততটা করা সম্ভব হয়নি।”

আরও পড়ুন
Advertisement