Murshidabad Mystery Death

বৌয়ের বান্ধবীকে ধার দেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় ‘ব্ল্যাকমেল’, মুর্শিদাবাদে অফিসে আত্মঘাতী যুবক!

মৃত সত্যেন মণ্ডলের স্ত্রী স্বপ্না মণ্ডল বহরমপুর থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, ধার দেওয়া ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ না করে তাঁর স্বামীকে হুমকি দিয়েছিলেন বান্ধবী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:০৬

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ধার দেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় স্ত্রীর বান্ধবীর কাছে অপমানিত হয়ে আত্মঘাতী এক ব্যক্তি। মৃতের পরিবার এমনই দাবি করল পুলিশের কাছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানা এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সত্যেন মণ্ডল। বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানার রাধারঘাট এলাকায়। পরিবারের দাবি, বুধবার থেকে সত্যেন নিখোঁজ ছিলেন। বৃহস্পতিবার মধুপুর এলাকায় এক ক্যুরিয়র সার্ভিসের অফিস থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বহরমপুর থানার পুলিশ। ওই অফিসেই ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন যুবক। মৃতের স্ত্রী স্বপ্না মণ্ডলের দাবি, মানসিক চাপে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। বান্ধবীর দিকেই আঙুল তুলেছেন স্বপ্না। তাঁর অভিযোগ, বান্ধবী টাকা তো শোধ করেননি, উল্টে তাঁর স্বামীকে ভয় দেখিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে সত্যেনের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে, এমন মিথ্যা কথা পরিচিতদের কাছে বলবেন বলে হুমকি দেন। ওই নিয়ে সত্যেন চাপে ছিলেন। সম্মানহানির ভয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি পরিবারের।

সত্যেনের শ্বশুরবাড়ি বহরমপুর গোরাবাজার এলাকায়। তাঁর স্ত্রীর দাবি, সেখানকার বাসিন্দা এক মহিলা (যিনি তাঁর বান্ধবীও) তাঁর স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। তার পর দীর্ঘ দিন কেটে গিয়েছে। বার বার বলা সত্ত্বেও টাকা শোধ করার আর নাম করেননি ওই মহিলা। এর মধ্যে ভাইফোঁটার দিন সত্যেনের সাত বছরের ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। টাকার প্রয়োজনে ওই মহিলাকে তাগাদা দেন সত্যেন। তখন উল্টে তাঁকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করা হয় বলে অভিযোগ। সত্যেনের স্ত্রী বহরমপুর থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, ধার দেওয়া ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ না করে তাঁর স্বামীকে হুমকি দিয়েছিলেন বান্ধবী। তিনি জানান, বাজারপাড়ায় যে বাড়িতে তাঁরা ভাড়া থাকেন, সেখানেও প্রায় চার মাসের বাড়িভাড়া বকেয়া রয়েছে। এ নিয়ে পরিবারিক অশান্তি চলছিল। এ জন্য মানসিক চাপে ছিলেন স্বামী। বুধবার অফিসে বেরিয়ে আর বাড়িও ফেরেননি। বার বার ফোন করেছেন স্বামীকে। কিন্তু ফোন বন্ধ ছিল। বুধবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার অফিস থেকে সত্যেনের দেহ উদ্ধার হয়।

সুপ্রকাশ মণ্ডল নামে মৃতের এক আত্মীয় বলেন, ‘‘অফিসে বেশ কয়েক জন সহকর্মীকে মানসিক অবসাদের কথা জানিয়েছিল দাদা। ধার দেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় ওকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল।’’ অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার মাজিদ ইকবাল জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তবে এখনও এই ঘটনায় আটক বা গ্রেফতারির কোনও খবর নেই।

আরও পড়ুন
Advertisement