প্রেমিকাকে খুনের পর প্লাস্টিকে মুড়ে দেহ লোপাটের চেষ্টা! নদিয়ায় পড়শিদের হাতে ধরা পড়লেন যুবক

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কল্যাণী শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:২১

—প্রতীকী ছবি।

এক মহিলাকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন এক যুবক। প্রায় দু’সপ্তাহ একসঙ্গেই ভাড়াবাড়িতে ছিলেন তাঁরা। বুধবার দুপুরে ওই দুপুরে ওই যুবককে কালো প্লাস্টিকে কিছু মুড়িয়ে টেনে জঙ্গলের দিকে যেতে দেখা যায়। তা দেখে সন্দেহ হয়েছিল পাড়া-প্রতিবেশীদের। এলাকায় খবর চাউর হতেই বাইক ধাওয়া করেন কয়েক জন। পরে সেই কালো প্লাস্টিকের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় এক যুবতীর মৃতদেহ! স্থানীয়দের দাবি, শ্বাসরোধ করে খুন করে জঙ্গলে মৃতদেহ লোপাট করার চেষ্টা করছিলেন যুবক। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ও দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। নদিয়ার হরিণঘাটা থানার সিমহাট এলাকার ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ থানার কাপালিপাড়ার বাসিন্দা কার্তিক দেবনাথ দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সন্দীপা সরকার নামে এক মহিলাকে নিজের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি বাড়িতে ঘরভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি বিবাহিত। ওই যুগল প্রায় দু’সপ্তাহ ধরেই ওই বাড়িতেই থাকতেন। বুধবার দুপুরে স্থানীয়রা দেখতে পান, কার্তিক একটা বিশাল বড় কালো প্লাস্টিকে কিছু মুড়িয়ে টেনে জঙ্গলের দিকে যাচ্ছেন। পাড়া-প্রতিবেশীরা তা দেখে কার্তিকের পিছু নেন। রাস্তায় তাঁকে থামিয়ে কালো প্লাস্টিক খোলা হতেই চক্ষু চ়ড়কগাছ হয়ে যায় তাঁদের। দেখা যায়, ভিতরে মহিলার রক্তাক্ত দেহ। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা মারধর দিয়ে হরিণঘাটা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন কার্তিককে।

প্রাথমিক সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, সন্দীপার সঙ্গে কার্তিকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ লোপাট করতে যাচ্ছিলেন কার্তিক। এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা রবিনচন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘এই দু’জন স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়া নিয়েছিল। তবে তাদের আচার আচরণ সন্দেহজনক মনে হতো। মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। প্রতিবেশীরা ওদের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছিল। সন্দেহজনক গতিবিধি মনে হয় কার্তিকের পিছু নিয়ে ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়। দেখে মনে হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে শ্বাসরোধ করে ওই মহিলাকে খুন করেছে কার্তিক।’’

আরও পড়ুন
Advertisement