ফাইল চিত্র।
তিনি জেলা সফরে বেরনোর সময় সেই জেলার কাজকর্মের খতিয়ান হাতে তুলে নেন। আর প্রশাসনিক বৈঠকে সেই খতিয়ান তুলে ধরে প্রশাসনিক আধিকারিকদের দাঁড় করিয়ে নানা প্রশ্ন ছুড়ে দেন। কারও কপালে জোটে প্রশংসা, কারও কপালে জোটে বকুনি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকগুলিতে এমনই চিত্র দেখা যায়। আর সে সব কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে উন্নয়নের কাজকর্মে ফাঁক-ফোকর কোথায় রয়েছে, কোথায় কাজ বকেয়া রয়েছে সে সব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরের দিনক্ষণের ইঙ্গিত মিলতেই জেলা প্রশাসনের কর্তারা কোনও দিন স্বাস্থ্য দফতরকে নিয়ে তো, কোনও দিন শিক্ষা দফতর বা কৃষি দফতরকে নিয়ে, কোনও দিন আবার প্রাণি সম্পদ দফতর বা খাদ্য দফতরকে নিয়ে বা শিল্প, পর্যটনের হাল হকিকত নিয়ে বৈঠক করছেন। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষদের নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে বৈঠক সেরেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর বিধায়কদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বলেন, ‘‘মুখ্যন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠকও করছি।’’
জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী ৮ ডিসেম্বর জেলা সফরে আসার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সে দিন দুপুরে মালদহে এবং বিকেলে বহরমপুরে রবীন্দ্রসদনে প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা। ৮ ডিসেম্বর বহরমপুর সার্কিট হাউসে রাত কাটিয়ে পরের দিন তাঁর নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠক যোগ দেওয়ার কথা। সে জন্য জেলা প্রশাসনের কর্তারা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে রবীন্দ্রসদন ঘুরে দেখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক অধিকারিক বলেন, ‘‘জানেন তো মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বৈঠকে কখন কাকে দাঁড় করিয়ে কী যে প্রশ্ন ছুড়ে দেবেন তা কারও জানা নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সব প্রশ্নের উত্তর যাতে দেওয়া যায় সে জন্য এধরনের প্রস্তুতি বৈঠক করা।’’ নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রশাসন প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। দিদি জেলায় নানা উন্নয়ন প্রকল্প দিয়েছেন। আরও চাওয়ার যা সব আছে তা চাইব।’’
এ যেন মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিনের প্রস্তুতির মত। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে কতটা চাইবেন, খুব বেশি চাওয়া হচ্ছে না তো এ সবও মাপজোক করে রাখছেন তাঁরা।