Malaria Infection

ডেঙ্গিকে পিছনে ফেলে দিল ম্যালেরিয়া

ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া-সহ মশাবাহিত অন্য রোগ নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি জঙ্গিপুরে বৈঠক করেছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

Advertisement
সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৪ ০৮:১৩
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

ডেঙ্গিতে রক্ষা নেই, দোসর হয়েছে ম্যালেরিয়া। এ বছর মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গিকে পিছনে ফেলে একেবারে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে ম্যালেরিয়া। এ বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৫ জন। সেখানে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫০ জন। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

Advertisement

বরাবরই মুর্শিদাবাদে ম্যালেরিয়াকে পিছনে ফেলে দেয় ডেঙ্গি। কিন্তু এবারে সেখানে জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ম্যালেরিয়া। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, মশাবাহিত ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া-সহ মশাবাহিত অন্য রোগ নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি জঙ্গিপুরে বৈঠক করেছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। সেদিন জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসকের চেম্বারে হওয়া ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ স্যানাল, জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক একাম জে সিং, উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ২ পার্থপ্রতিম গুপ্ত, ওই মহকুমার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।

সন্দীপ বলেন, ‘‘ডেঙ্গি ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য দফতর বাসিন্দাদের লাগাতার সচেতন করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে মশাবাহিত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা করা হচ্ছে।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩৪৩ জন। এ বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪৫ জন। অন্যদিকে গত বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলায় ১২৯২ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৩৭০ জন ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ফলে এ বারে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।

তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের দাবি, এত দিন পর্যন্ত ম্যালেরিয়ার সংখ্যা বাড়ছিল। দিন পনেরো থেকে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমছে।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতর সমীক্ষা করে দেখেছে ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা দেখা যাচ্ছে। মূলত ওড়িশার মালকানগিরি এলাকায় ম্যালেরিয়ার প্রভাব বেশি থাকে বরাবরই। ওই সব এলাকায় মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ, রেজিনগর, বেলডাঙা, সুতি সহ জেলার বিভিন্ন এলাকার লোকজন কাজে যান। ওই সব রাজ্যে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ রয়েছে। কিন্তু মুর্শিদাবাদ থেকে যাওয়া সেখানে যাওয়া পরিযায়ীদের অনেকে মশারি ছাড়াই ঘুমোন। যার জেরে অনেকেই ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় ফিরছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement