local train

রানাঘাট থেকে বনগাঁ রাতের লোকাল চালু, রাজনীতিও

দু’ঘন্টার ফারাকের মধ্যে আরও একটি ট্রেনের দাবি জানিয়েছিলেন যাত্রীরা। সেই দাবি মতো রাত ১০টা ১০ মিনিটে আরও একটি লোকাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:১৫
লোকাল ট্রেন উদ্বোধনে শুভেন্দু।

লোকাল ট্রেন উদ্বোধনে শুভেন্দু। — নিজস্ব চিত্র।

রানাঘাট-বনগাঁ শাখায় লোকাল ট্রেনের উদ্বোধন করতে এসে কার্যত রাজনৈতিক বার্তাই দিয়ে গেলেন রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা, বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার ট্রেন উদ্বোধনের পাশাপাশি সরকারি মঞ্চ থেকেই তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট- বনগাঁ শাখায় প্রতিদিন আপে ১৭টি এবং ডাউনে ১৬টি লোকাল ট্রেন চলত। রাত ৯টা ১০ মিনিটের পর ১১টা ১২ মিনিটে শেষ লোকাল নদিয়ার রানাঘাট ছেড়ে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর উদ্দেশে রওনা দিত। এই দু’ঘন্টার ফারাকের মধ্যে আরও একটি ট্রেনের দাবি জানিয়েছিলেন যাত্রীরা। সেই দাবি মতো রাত ১০টা ১০ মিনিটে আরও একটি লোকাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

উদ্বোধনী মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ দিন শুভেন্দু দাবি করেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার রেলের কাজ মানে মনে করে মোদীজির কাজ বা বিজেপির কাজ। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে বলব এখানকার রাজ্য সরকারকে। বলব, কিছু শিখুন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের কাছ থেকে।” তাঁর দাবি, “বন্দে ভারত ট্রেনে যে ভাবে পাথর ছোড়া হয়েছে, তাতে বাংলার সম্মান বৃদ্ধি হয়নি।” পুরনো ট্রেনকে রং করে ‘বন্দে ভারত’ ট্রেন হিসেবে চালানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, দয়া করে সাড়ে দশ কোটি মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।”

ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, রেলের কোনও চালু শাখায় ট্রেন বাড়ানো-কমানোর বিষয়টি সম্পূর্ণ রেল কর্তৃপক্ষের হাতে। বনগাঁ শাখায় বহু বছর আগে থেকেই ট্রেন চলাচল করে। একটি ট্রেন বাড়ায় তা উদ্বোধন করতে বিরোধী দলনেতাকে কেন আসতে হল, সেই প্রশ্নও উঠছে। রানাঘাটের তৃণমূল পুরপ্রধানকে এ দিনের অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি। যেমন গত নভেম্বরে হবিবপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি বিজেপি সাংসদ-বিধায়কেরা।

নদিয়া জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণীকুমার রায় দাবি করেন, “বিরোধী দলনেতার সঙ্গে মানুষের সংযোগ নেই। তাই সংবাদ শিরোনামে আসতে তিনি রাজনৈতিক বার্তা দিচ্ছেন!” রানাঘাটের পুরপ্রধান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজনৈতিক সৌজন্যের কথা যাঁরা বলেন, তাঁরাই আমন্ত্রণ না জানিয়ে অসৌজন্যের উদাহরণ দিলেন।” তবে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের দাবি, “আগে রেলের অনুষ্ঠানে ওঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাঁরা আসেননি। তাই হয়তো রেল এ বার আর আমন্ত্রণ জানায়নি।”

আরও পড়ুন
Advertisement