BGBS 2022

Mahua Moitra: নদিয়ার ফুল, ফল, সব্জি পৌঁছবে দুবাই, মহুয়ার উদ্যোগে মউ সাক্ষর জাপানি সংস্থার সঙ্গে

প্রকল্পে পরোক্ষ ভাবে হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থান হবে। স্থানীয় যুবকেরা বলছেন, ‘‘রুটি-রুজির টানে ভিন্‌ রাজ্যে আর পাড়ি দিতে হবে না।’’

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২২ ০০:১৫
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে স্বাক্ষরিত হল মউ।

বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে স্বাক্ষরিত হল মউ। নিজস্ব চিত্র।

নদিয়ার ফুল-ফল, অর্কিড থেকে তাজা শাক-সব্জি সোজা পৌঁছে যাবে দুবাই-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে স্বাক্ষরিত হল সেই সংক্রান্ত মউ। জাপানের ‘কাওয়াসাকি সোলার ওয়্যারহাউসিং কর্পোরেশন’ কাজ শুরু করবে নদিয়ায় ওয়্যারহাউসের সঙ্গে। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের আশা, এর ফলে নদিয়া ও পার্শ্ববর্তী জেলায় উৎপাদিত ফসল, ফল, ফুল অবিকৃত অবস্থায় পৌঁছে যাবে দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে। খুশি জেলার কৃষকরাও।

কৃষ্ণনগর লোকসভা এলাকা উন্নত মানের ফল ও সব্জি চাষের জন্য প্রসিদ্ধ। যদিও ভরা মরসুমে অত্যধিক ফলন কৃষকদের মুখে হাসি ফোটানোর পরিবর্তে কপালের ভাঁজ আরও চওড়া করে। মাঠের ফসল, বাগানের ফল, ফুল সংরক্ষণের আধুনিক পরিকাঠামোর অভাবে নষ্ট হয় বা জলের দরে বাজারজাত করতে হয়। রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় গত কয়েক বছর ধরেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’ধারে অত্যাধুনিক পলি হাউস নির্মাণ করে শুরু হয়েছে অর্কিড ও আধুনিক ফুলের চাষ। কিন্তু সংরক্ষণ ও রফতানির ব্যবস্থা না থাকা প্রকল্পের সাফল্যের পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়েছিলেন মহুয়া। সেই লক্ষ্যেই এ বার জাপানি সংস্থার ১১ কোটি টাকা বিনিয়োগে তৈরি শুরু হতে চলেছে আধুনিক ওয়ারহাউজ।
মহুয়া বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যেই দুবাই ও ভারতের নামী ফুল রফতানিকারকদের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছি। যাতে এখান থেকে ওখানে সরাসরি ফুল পাঠানো সম্ভব হয়। চুক্তিতে আমাদের সঙ্গেই রয়েছে দুবাই এমিরেটস, যাদের কার্গোতে সরাসরি দুবাইয়ে পণ্য রফতানি করা হবে। ’’

Advertisement

স্থানীয় গ্লাডিওলাস চাষি রমেন বিশ্বাস বলছেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দাবি ছিল উৎপাদিত পণ্যের সঠিক সংরক্ষণ ও রফতানির যথাযথ ব্যবস্থার। আজ তা পূরণ হল। আশা করছি এ বার চাষ করে লাভের মুখ দেখব।’’

প্রত্যক্ষভাবে ৩০ জন এবং পরোক্ষে হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে এই প্রকল্পে বলে দাবি করা হচ্ছে। সে কথা শুনে স্থানীয় যুবক সুবীর ঢালি বলেন, ‘‘স্থানীয় ভাবে কর্মসংস্থান তৈরি হলে রুটি-রুজির টানে আমাদের আর ভিন্‌ রাজ্যে পাড়ি দিতে হবে না।’’

এক দিকে যেমন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সুবিধা নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি গুণমান বজায় রেখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রাকে ফুল, ফল ও সব্জি অতি সহজে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া যাবে, অন্য দিকে দুবাই এমিরেটস সংস্থার সাহায্যে মালবাহী বিমানে অতি দ্রুত তা মরু শহরের ক্রেতাদের কাছে পৌঁছবে।

আরও পড়ুন
Advertisement