Ranaghat

বস্তা বদলের সময় ধরা পড়ল রেশনের চাল ও আটা! তৃণমূলের দিকে আঙুল তুললে বিজেপির জগন্নাথ

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ২৩:৪১

—প্রতীকী ছবি।

বাড়ির পিছনের কলাবাগানে সরকারি আটার প্যাকেট কেটে তৈরি করা হচ্ছিল বস্তা বস্তা বেসরকারি ব্যান্ডের স্টিকার লাগানো আটা। শুধু তাই নয়, বাড়ির গোডাউনে মজুদ কয়েকশো বস্তা রেশনের বরাদ্দ সরকারি চাল। চাল ও আটা রিপ্যাকেজিং করার সময় স্থানীয়দের হাতে পাকড়াও গোডাউন ভর্তি আটা ও চাল। অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। শাসকদলের মদতেই চলছে জালিয়াতি। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। নদিয়ার তাহেরপুর থানা এলাকার বীরনগর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরক ডাঙাপাড়া এলাকার ঘটনা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে চাল ও আটার বস্তা।

Advertisement

স্থানীয়দের দাবি, নদিয়ার তাহেরপুর থানা এলাকার বীরনগর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরক ডাঙাপাড়া এলাকার প্রশান্ত পাল নামে এক ব্যক্তি এলাকারই বেশ কয়েকটি রেশন ডিলারের কাছে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিতেন। আগে পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন ওই ব্যক্তি। হঠাৎই ফুলে ফেঁপে ওঠেন তিনি। শনিবার ওই ব্যক্তির বাড়ির কলাবাগানে প্যাকেটে সরকারি সিল দেওয়া আটার বস্তা পাওয়া যায়। পাশাপাশি কয়েকশো খালি বস্তাও পাওয়া যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি সরকারি আটার বস্তা থেকে আটা বার করে লোকাল ব্যান্ডের স্টিকার মেরে তা খোলা বাজারে বিক্রি করতেন। শনিবার ওই ব্যক্তির কীর্তি সকলের নজরে পড়ে। এর পরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয়েরা। ঘটনাস্থলে যান জগন্নাথ। রেশন ‘দুর্নীতি’ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি সাংসদ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিযুক্ত প্রশান্ত পাল নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।

রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের দাবি, ‘‘অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। উঁচু স্তরের নেতা ও মন্ত্রীদের অঙ্গুলিহেলনে কোটি কোটি টাকার রেশন দুর্নীতির অন্যতম পাণ্ডা এই প্রশান্ত। পুলিশ বারবার তাঁকে আড়াল করার চেষ্টা করলেও স্থানীয়েরা আজ হাতেনাতে ধরে ফেললেন। বরাদ্দ রেশন দ্রব্যের এ ভাবে কালোবাজারি কোনও ভাবেই মানা হবে না।’’

বিজেপি সাংসদের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘোলা জলে মাছ ধরা জগন্নাথবাবুর একটি অভ্যেস। কেউ দোষ করে থাকলে আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। এখানে দলের কোনও যোগ নেই।’’

আরও পড়ুন
Advertisement