নিজস্ব চিত্র।
ভোট-পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় একাধিক পরিবার আক্রান্ত বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই সব পরিবারের সঙ্গে মঙ্গলবার দেখা করে কথা বললেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। তৃণমূলের অবশ্য অভিযোগ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা বেছে বেছে বিজেপির লোকেদের বাড়িতে গিয়েছে। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের কোনও খোঁজ নেননি তাঁরা।
মঙ্গলবার তারা নদিয়ার ভীমপুরের গোবিন্দপুর ও আসাননগর জামতলাপাড়া এলাকায় গিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। নির্বাচনের পর-পরই এই গ্রাম গুলিতে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে অশান্তি হয়। সেই ঘটনার জেরে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
বিজেপির অবশ্য দাবি, পুলিশ বেছে-বেছে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করেছে এবং কেবল মাত্র বিজেপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে। পাশাপাশি বিজেপির অভিযোগ, ভীমপুর থানার পুলিশ বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর ও পরিবারের লোকেদের মারধর করেছে। তৃণমূল ও পুলিশের ভয়ে ওই এলাকায় তাদের প্রায় ৩০ জন কর্মী ঘর ছাড়া বলে বিজেপির দাবি। সোমবার দুপুরেই কৃষ্ণনগরের সার্কিট হাউজে আসেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। জেলা জুড়ে ভোট-পরবর্তী হিংসার বিভিন্ন তথ্য তাঁরা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। বিশেষ করে ভীমপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অনেকেই মনে করেছিলেন যে, মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা ভীমপুর থানা এলাকায় যেতে পারে। সেটাই হয়। এ দিন বিকেলে প্রতিনিধিরা ভীমপুরের গ্রামগুলি পরিদর্শন করেন। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। মঙ্গলবার বেলার দিকে কমিশনের প্রতিনিধিরা ঘূর্ণি গিয়ে মাটির পুতুল দেখেন। তার পর যান কৃষ্ণনগর মহিলা থানায়। সেখান থেকে ফিরে বিকেলের দিকে তারা যান ভীমপুর থানা এলাকায়।