Bharat Jodo Nyay Yatra

পথে জনজোয়ার, তবে যাত্রায় মুখ খোলেননি রাহুল

ফরাক্কা সেতু পেরিয়ে শুরু হওয়া এ জেলায় রাহুলের কর্মসূচিতে কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে কিছুটা বিশৃঙ্খলাও। বিশাল গাড়ির কনভয়ে রাহুল আগোগোড়া ছিলেন একটি হুড খোলা লাল গাড়িতে।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৯
রাহুলের ন্যায় যাত্রা।

রাহুলের ন্যায় যাত্রা।

রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় জনজোয়ার দেখে খুশি কংগ্রেস নেতারা। ফরাক্কা থেকে জঙ্গিপুরে মধ্যাহ্নভোজ সেরে রাতে কান্দি পর্যন্ত রাস্তায় যে ভাবে কংগ্রেস সমর্থকেরাই শুধু নয়, সাধারণ মানুষজনও ভিড় করেছেন, তাতে লোকসভা নির্বাচনের আগে এ জেলার কংগ্রেস নেতারা খুব খুশি। রাহুলের যাত্রাসঙ্গী কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, “জঙ্গিপুরে ভারত জোড়ো যাত্রা অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছে, যা উত্তরবঙ্গকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।”

Advertisement

তবে ফরাক্কা সেতু পেরিয়ে শুরু হওয়া এ জেলায় রাহুলের কর্মসূচিতে কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে কিছুটা বিশৃঙ্খলাও। বিশাল গাড়ির কনভয়ে রাহুল আগোগোড়া ছিলেন একটি হুড খোলা লাল গাড়িতে। পাশে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অরঙ্গাবাদে বিড়ি মহল্লায় একটি বাড়িতে ঢোকা ছাড়া রাহুল এ দিন না গাড়ি থেকে নেমেছেন, না কোথাও ভাষণ দিয়েছেন, না পায়ে হেঁটেছেন। তবে শমসেরগঞ্জে তার মধ্যেই ধুলিয়ানের প্রাক্তন কংগ্রেস পুরপ্রধান সফর আলি রাহুলের হাতে তুলে দিয়েছেন একটি পাগড়ি। সেখানেই এক সময় রাহুল তাঁর হুডখোলা গাড়িতে কিছু ক্ষণের জন্য তুলে নেন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি ইমাম হোসেনকে। সূত্রের খবর, তাঁর কাছে শমসেরগঞ্জের নদী ভাঙনের কথা জানতে চান রাহুল। কনভয় যখন রঘুনাথগঞ্জ শহরের বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছয় তখন ৫ মিনিট বাকি রয়েছে বেলা ১২টা বাজতে। চারিদিকে শুধু মাথা আর মাথা। ভিড় নিয়ন্ত্রণে হিমসিম খাচ্ছে রাহুলের নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশও। সেখানে কলকাতার টালিগঞ্জ থেকে এসেছিলেন একদল ছাত্র ছাত্রী। সেখানে রাহুলের হাতে তারই হাতে আঁকা একটি ছবি তুলে দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছিলেন তনিশা বাল্মীকি নামে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী।

ইতিমধ্যেই সিপিএমের সেলিম, সুজন এসে পৌঁছান সেখানে। প্রায় ২টো নাগাদ রাহুল ডেকে পাঠান সিপিএম নেতাদের। মিনিট দশেক কথা বলেই রাহুল বেলা ২টো ২০ নাগাদ বেরিয়ে যান লালগোলার উদ্দেশে।

লালগোলা থেকে ভগবানগোলা, জিয়াগঞ্জ, লালবাগ, চুনাখালি, পঞ্চাননতলা হয়ে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা বহরমপুরে ঢোকার পুরো সময় রাস্তার দু’ধারে ভিড় থিক থিক করেছে। সারাক্ষণ হাত নেড়ে যাচ্ছিলেন রাহুল গান্ধী। ফলে ফাঁকা মাঠ এলে কখনও মোবাইলে স্ক্রিনে নজর দিচ্ছিলেন, কখনও বা মোবাইলে কিছু লিখছিলেন। আর লোকালয় এলেই ফের হাত নাড়ছিলেন।

বহরমপুরে চুঁয়াপুর উড়ালপুলের কাছে স্বর্ণময়ী বাজার লাগোয়া অনুষ্ঠান বাড়ির সামনে দিয়ে যখন রাহুলের ন্যায় যাত্রা যাচ্ছে তখন ওই অনুষ্ঠান বাড়ির ছাদনাতলা থেকে বর কনে দৌড়ে রাস্তার দিকে চলে আসেন। তাঁদের দেখে রাহুল হাত নাড়ান। বর কনের কাছে থাকা ক্যামেরায় রাহুলের ছবিও তোলেন। বহরমপুর শহরের ভিতরে অনেকেই চার পাঁচ ঘণ্টা ধরে রাস্তার ধারে ঠাঁই দাঁড়িয়েছিলেন। বহরমপুর শহরে মহিলারা ফুল ছড়িয়ে রাহুলকে স্বাগত জানান। সন্ধ্যায় জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে মিনিট দুয়েক দাঁড়িয়েছিলেন রাহুল।

জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘বেলা সাড়ে তিনটের পরে রাহুল গান্ধীর যাত্রাপথে নতুন করে মুখ্যমন্ত্রীর হোর্ডিং লাগিয়েছে তৃণমূল। তার পরে জন-সুমামি বয়েছে। মুর্শিদাবাদের মানুষকে ধন্যবাদ এই জন-সুনামি করার জন্য।’’ তবে জেলা তৃণমূল নেতা অশোক দাস বলেন, ‘‘কংগ্রেস ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী এসেছিলেন। তাই সে দিনই শহর জুড়ে হোর্ডিং ব্যানার পতাকা লাগানো হয়েছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement