Ilish

ইলিশ-পাবদা নিয়ে চম্পট দিল চোর, দোকানে পড়ে রইল রুই-কাতলা! নববর্ষে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

নদিয়ার রানাঘাটের আনুলিয়ার ঘটনা। পুলিশের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। চুরির ধরন দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি কোনও পেশাদার চোরের কাজ নয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৩৫

—প্রতীকী ছবি।

নববর্ষে বাঙালির প্রথম পছন্দ পদ্মার ‘রুপোলি শস্য’। এখন বাজারে যার দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরেই বলা চলে। তবুও বাড়তি লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়েই চড়া দামে পদ্মার ইলিশ ও প্রমাণ সাইজের পাবদা কিনে এনে মজুত করেছিলেন কয়েক জন মাছ ব্যবসায়ী। কিন্তু নববর্ষের আগের দিন শনিবার ভোরে চুরি গেল সেই সব ইলিশ-পাবদা। শুধুই রুই-কাতলা পড়ে রইল দোকানে!

Advertisement

নদিয়ার রানাঘাটের আনুলিয়ার ঘটনা। পুলিশের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। চুরির ধরন দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি কোনও পেশাদার চোরের কাজ নয়। প্রশ্ন, তা হলে কি ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই চুরি? এক পুলিশকর্মীর রসসিক্ত মন্তব্য, ‘‘কোনও ভোজনরসিকেরও কাজ হতে পারে কিন্তু! কিছুই অসম্ভব নয়।’’

রবিবার নববর্ষ। তার আগে হাওড়ার পাইকারি বাজার থেকে কয়েক কুইন্টাল পদ্মার ইলিশ ও পাবদা কিনে মজুত করে রেখেছিলেন আনুলিয়ার জগপুর রোডের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক সংলগ্ন বাজারের কয়েক জন মৎস্য ব্যবসায়ী। দোকানে প্লাস্টিকের ক্যারেটে বরফ দিয়ে মাছগুলি সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন তাঁরা। শনিবার সকালে দোকান খুলতেই তাঁদের মাথায় হাত! দেখেন, ইলিশ-পাবদার ক্যারেট উধাও দোকান থেকে!

সে রকমই এক মাছ ব্যবসায়ী সুমন মণ্ডল বলেন, ‘‘হাওড়ার বাজার থেকে নিলামে প্রায় দেড় গুণ দামে ইলিশ আর পাবদা কিনেছিলাম। পয়লা বৈশাখ দাম বেশি থাকবে ভেবেই বিক্রি করিনি। আগের রাতে এ ভাবে চুরি হওয়ায় আমাদের সর্বস্ব গেল।’’ চুরির খবর পেয়েই বাজারে যায় রানাঘাট থানার পুলিশ, যান রানাঘাটের পুরপ্রধান ও স্থানীয় আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানও। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, অবিলম্বে মাছের বাজারকে সিসিটিভির নজরদারির আওতায় আনার প্রয়োজন আছে।

আরও পড়ুন
Advertisement