Cyclone Remal

রেমালকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না জেলার মৎস্যজীবীরা

রেমালের ভয়কে উপেক্ষা করেই মাছের আশায় রবিবার সকালেও ভাগীরথী নদীতে জাল ফেলেছেন নিমাই হালদার।

Advertisement
মনোদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ০৮:৩১
বহরমপুরে, মাছ ধরার জাল ঠিক করছেন এক মৎস্যজীবী।

বহরমপুরে, মাছ ধরার জাল ঠিক করছেন এক মৎস্যজীবী। নিজস্ব চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের স্মৃতি এখনও ভোলেননি কৃষ্ণমাটির জেলেরা। আরও এক ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ ফের সেই স্মৃতি উসকে দিচ্ছে তিন বছর পরে। রেমালের প্রভাব মুর্শিদাবাদ জেলায় তেমন পড়বে না বলেই আশা আবহবিদদের। তবু ঝড় বৃষ্টির সময় নদীতে মাছ ধরতে যাবেন না বলেও জানিয়েছেন মৎস্যজীবীরা। উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল বেগে ঝড় বইতে পারে, হতে পারে বৃষ্টি। তেমন অবস্থা মুর্শিদাবাদ বা বহরমপুরে হবে না বলেই আশা জেলাবাসীর, তবুও শঙ্কা রয়েছে সবার মনেই।

Advertisement

তবে রেমালের ভয়কে উপেক্ষা করেই মাছের আশায় রবিবার সকালেও ভাগীরথী নদীতে জাল ফেলেছেন নিমাই হালদার। ঝড় এলে ডাঙায় ফেরত আসবেন জানান। নিমাই বলেন, ‘‘দশ বছর বয়স থেকে মাছ ধরাই আমার পেশা। আমি এখনও তেমন কোনও খারাপ অবস্থার মুখে পড়িনি। আমার মতো অনেকেই পড়েননি।’’ নিমাইয়ের সঙ্গে কাজ করেন, কিষাণ হালদার, শুভ হালদারের মতো মোট চার জন। জালে মাছ পড়লে তবেই ঘরে টাকা আসে, না হলে ফাঁকা পকেটেই ঘরে ফেরা। তাই ঝড়কে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ নিমাই। ঝড় এলে? ‘‘তখন আর কোনও ইনকাম নেই’’, জানান নিমাই।

রুই, কাতলা, পাঙাশ মাছই জালে বেশি ওঠে বলে জানান স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। নিমাইয়ের মতো মুকুন্দ হালদারও বুকে সাহস নিয়েই মাছ ধরার জাল ঠিক করে নিচ্ছেন নদীতে তা ফেলবেন বলে। বয়স পঁচাত্তর, তবুও নদীই জীবন—বলছেন মুকুন্দ। রেমালকে ভয় নেই বলেই জানান তিনিও। মুর্শিদাবাদ বা বহরমপুরে তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না বলেও আশাবাদী মুকুন্দ। তিনি বলেন, ‘‘আগের ঝড়গুলোয় তো তেমন কিছু হয়নি। এতেও কিছু হবে না।’’

মৎস্য দফতর সূত্রেও জানা যাচ্ছে, জেলায় তেমন ভাবে রেমালের প্রভাব পড়বে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement