—নিজস্ব চিত্র।
ইতিমধ্যেই ছ’টি বিয়ে সেরে ফেলেছেন যুবক। নিজের বিলাসবহুল জীবনযাপন ও স্ত্রীদের ভরণপোষণ করতে গিয়ে বিক্রিও করছেন একের পর এক পৈতৃক সম্পত্তি। টাকাপয়সা না পেলে আবার খুনের হুমকিও দেন বাবা-ভাইকে! এই নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে ষষ্ঠতম বধূকে ঘরে তুলতেই সহ্যের বাঁধ ভেঙেছে পরিবারের। তিতিবিরক্ত হয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বসলেন বাবা। পাশে বসা স্ত্রী এবং ছোট ছেলে। সেখানে অসহায় পিতার আকুতি, ‘‘ছেলে কোথাও বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে গেলেই দয়া করে আমাদের বাড়িতে খবর দিন!’’
মুর্শিদাবাদের রানিনগরের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের এই কাণ্ডে তাজ্জব এলাকার মানুষ। বড় ছেলে মমিনুলের উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অতিষ্ঠ বাবা নজরুল সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন বৃহস্পতিবার। চেয়েছিলেন, সাংবাদিকদের মাধ্যমে ছেলের ছবি চারদিকে ছড়িয়ে দিতে। যাতে ছেলের ‘ফাঁদে’ আর কোনও মহিলা না প়ড়েন! নজরুল বলেন, ‘‘নভেম্বরে নাকি আরও একটা বিয়ে করবে ছেলে। তাই বাধ্য হয়েই সাংবাদিক বৈঠক ডাকলাম।’’ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আর কী করব বলুন! আপনাদের মাধ্যমে যদি ছেলের মুখটা সকলকে দেখাতে পারি, তা হলে হয়ত আর কোনও মেয়ের সর্বনাশ করতে পারবে না ও। আর আমরাও একটু বাঁচব।’’
নজরুল জানান, মমিনুল এখনও পর্যন্ত ছ’টি বিয়ে করে ফেলেছেন। প্রথমে পক্ষের স্ত্রীর একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। তাঁদের সকলেরই ব্যয়ভার সামলাতে হয় ব্যবসায়ীকে। শুধু তা-ই নয়, স্ত্রীদের আবদার মেটাতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া একের পর এক সম্পত্তিও বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন নজরুল। তিনি বলেন, ‘‘প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে দিই। আরও টাকা চায়! এত টাকা দেব কোত্থেকে! টাকা দিতে অস্বীকার করলেই খুনের হুমকি দেয়। পুলিশের কাছেও গিয়েছিলাম। কিন্তু সুরাহা হয়নি।’’ নজরুলের হুঁশিয়ারি, প্রথম স্ত্রী ছাড়া আর কাউকেই বাড়িতে থাকতে দেবেন না তিনি।
যদিও বাবার এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মমিনুল। পাল্টা তাঁর দাবি, পারিবারিক সম্পত্তি থেকে তাঁকে বঞ্চিত করতেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন বাবা ও ভাই। বহুবিবাহ প্রসঙ্গে মমিনুলের বক্তব্য, ‘‘এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। আপনাদের মাথা ঘামাতে হবে না। আইনের আশ্রয় নিয়ে সবের মোকাবিলা করব।’’