Crop Insurance

বিমা থেকে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন ৩৭ হাজার কৃষক

মুর্শিদাবাদের উপকৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মোহন লাল কুমার বলেন, ‘‘এ বারে জেলার প্রায় ৩৭ হাজার কৃষক বিমার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২২
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার কারণে গত বর্ষায় মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। যার জেরে পাট ও বর্ষাকালের ধান চাষ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন কৃষকেরা। বৃষ্টির ঘাটতির কারণে ধান লাগাতে না পারায় লালগোলার নশিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু কৃষক কয়েক মাস আগেই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। সেই সঙ্গে বৃষ্টি কমের কারণে বর্ষাকালে ধান চাষ আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এ বারে জেলার ৩৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩৭ হাজার কৃষক বিমার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, ওই সব গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বৃষ্টির ঘাটতির জেরে ধানের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আর সে কারণে তাঁদের দু’কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢুকবে বলে জেলা কৃষি দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন।

Advertisement

মুর্শিদাবাদের উপকৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মোহন লাল কুমার বলেন, ‘‘এ বারে জেলার প্রায় ৩৭ হাজার কৃষক বিমার ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা শুরু হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘রবি মরসুমে আমাদের জেলায় ১০ ফসলের বিমা করানোর কাজ চলছে। ১৫ মার্চ পর্যন্ত তিল ও ভুট্টার বিমা করানো যাবে। এ বারে রবি মরসুম ৮ লক্ষ ৫৪ কৃষককে বিমার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আমরা সেটা করতে পারব।’’

জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক কারণে ফসলের আংশিক বা সম্পূর্ণ ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সংস্থান রয়েছে বাংলা শস্য বিমা যোজনায়। আবার প্রাকৃতিক কারণে কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৫০ শতাংশ জমিতে ফসল লাগাতে না পারলে সেটাও শস্য বিমার আওতায় আসে। ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত যে সব কৃষক শস্য বিমার আওতায় থাকেন তাঁরা বিমা বাবদ ক্ষতিপূরণ পান। এ বারের লালগোলার নশিপুরের ৮১৬ জন কৃষক ধান লাগাতে না পারার জন্য ৩৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পয়েছেন। সেই সঙ্গে এ বারে ধান উৎপাদনের পরে উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, জেলার ৭টি ব্লকের ৩৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ধানের আংশিক ক্ষতির কারণে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবানগোলা ১ ও ২ ব্লক, লালগোলা, নবগ্রাম, রঘুনাথগঞ্জ ২ ব্লক, ফরাক্কা ও শমসেরগঞ্জ ব্লকে ওই ৩৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত তার মধ্যে পড়ছে।

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে জেলায় গত বর্ষাকালের ধান চাষ, পাট-সহ অন্য ফসল চাষে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বৃষ্টি কমের কারণে ধান লাগাতে গিয়ে যেমন সমস্যা দেখা দিয়েছিল, তেমনই পাট চাষেও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে মরসুমের শেষের দিকে বৃষ্টি হওয়ার কারণে জেলার অধিকাংশ জায়গায় ধান লাগাতে সক্ষম হয়েছিলেন কৃষকেরা। জেলায় যেখানে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধান লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল, সেখানে ১ লক্ষ ৮৪ হেক্টর জমিতে ধান লাগানো হয়েছিল। জেলার একমাত্র লালগোলা ব্লকের নশিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকেরা ধান লাগাতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছিলেন। তাঁরা ৫০ শতাংশ জমিতে ধান লাগাতে পারেননি। পরে দেখা গিয়েছে সাতটি ব্লকে ধানের উৎপাদনে মার খেয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement