পালিয়ে যাওয়া বিচারাধীন বন্দি গ্রেফতার, আবার শ্রীঘরে ঠাঁই যুবকের

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:৫০

—ফাইল চিত্র।

সপ্তাহখানেক চিরুনি তল্লাশির পর ফের পুলিশের জালে বিচারাধীন বন্দি। নদিয়ার রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া সেই বন্দিকে বৃহস্পতিবার বর্ধমান থেকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। হাসপাতাল থেকে বন্দি পালনের ঘটনায় নিরাপত্তারক্ষীদের গাফিলতি ছিল কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে শান্তিপুর থেকে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয় বছর উনিশের আব্দুল গফ্ফর শেখকে। তাঁর বাড়ি শান্তিপুরের হিজুলিতে। তখন থেকেই রানাঘাট আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। অভিযুক্তকে রাখা হয়েছিল রানাঘাটের উপসংশোধনাগারে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার সন্ধ্যায় প্রবল কাশি ও রক্তক্ষরণ হতে থাকায় আব্দুলকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি যাতে হাসপাতাল থেকে পালাতে না পারেন, সে জন্য রানাঘাট পুলিশ জেলার রিজার্ভ অফিসার জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দুই সশস্ত্র পুলিশকর্মীকে হাসপাতালে মোতায়েন করেন। পুলিশি প্রহরা সত্ত্বেও ১০ ডিসেম্বর পুলিশকর্মীদের নজর এড়িয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান আব্দুল। খবর পেয়েই চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পার্শ্ববর্তী সমস্ত থানাকে সতর্ক করা হয়। পলাতক বন্দি যাতে ভিন্‌জেলা, এমনকি ভিন্‌রাজ্যে পালিয়ে যেতে না পারেন, তার জন্য সতর্ক করা হয় রাজ্য গোয়েন্দাদের। অবশেষে বৃহস্পতিবার গোপন সূত্র মারফত পলাতক বন্দির বর্ধমানে লুকিয়ে থাকার খবর পায় পুলিশ। শান্তিপুর থানার একটি বিশেষ দল বর্ধমান পৌঁছে পলাতক বন্দিকে গ্রেফতার করে পুনরায় শান্তিপুরে নিয়ে আসে।

রানাঘাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রবীর মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রহরী থাকা সত্ত্বেও অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ছিল অভিযুক্ত। প্রায় দশ দিন জেলা পুলিশের গোটা দল সামগ্রিক ভাবে প্রয়াস চালিয়ে অভিযুক্তকে পুনরায় গ্রেফতার করেছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরে গত ১০ মে বিচারাধীন বন্দি মইদুল মণ্ডল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যান। যদিও তাঁকে ফের গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement