ভাঙন প্রতিরোধে গঙ্গায় ফেলা হচ্ছে বালির বস্তা। নিজস্ব চিত্র।
ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু সমস্যা সমাধান হয়না মুর্শিদাবাদ জেলার গঙ্গা ভাঙনের। ২০২০ সালের আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের চাঁচন্ড এলাকায় গঙ্গার ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা। বালির বস্তা ফেলে ইতিমধ্যেই ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু করেছে সেচদফতর। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন ভাঙন কবলিত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ভাঙন রোধে অবিলম্বে স্থায়ী সমাধান চাই।
বর্ষা শুরু হলেই প্রতি বছর ভাঙনের কবলে পড়তে হয় মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। প্রতি বছর গঙ্গার ভাঙনের সময় প্রশাসনের তরফ থেকে বালির বস্তা ফেলা হয়। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয় না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে বছরের পর বছর ভিটে মাটি হারাতে হয় গঙ্গা পারের স্থায়ী বাসিন্দাদের।
২০২০ সালে ঠিক এই সময়ে ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় হাজার হাজার বিঘা চাষযোগ্য জমি। প্রায় শতাধিক বাড়িঘর। ভিটেমাটি হারিয়ে এখনও নিঃস্ব হয়ে জীবন যাপন করছেন কয়েকশো পরিবার। তাঁদের দাবি, ভাঙন প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারস্থ হলেও স্থায়ী সুরাহা হয়নি। বছর ঘুরতেই ফের নতুন করে ভাঙন আতঙ্ক শুরু হয়েছে সামসেরগঞ্জের চাঁচন্ড গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ সেখ বলেন, “প্রতি বছর ভোট আসে ভোট যায়, কিন্তু আমাদের সমস্যা সমাধান হয়না। গঙ্গার ভাঙনে ভিটেমাটি হারাতে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের।”
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী বলেন, “এ বছর ভাঙন প্রতিরোধে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সেচ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন নদীপথে পরিদর্শন করেছেন। আমরা রাজ্যে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।