Murder

একসঙ্গে বসে রাতের খাবার খেয়ে ভাইয়ের গলা কেটে খুন, শান্তিপুরে দাদার বাড়ি থেকে উদ্ধার দেহ

নিহত যুবকের নাম উজ্জ্বল প্রামাণিক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উজ্জ্বলকে ফোন করেছিলেন তাঁর দাদা প্রবীণ প্রামাণিক।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৩ ১৩:৪১
Elder brother allegedly killef younger brother at Santipur of Nadia

ভাইকে বাড়িতে ডেকে খুনের অভিযোগ দাদার বিরুদ্ধে। প্রতীকী চিত্র।

রাত ১১টা থেকে সুইচড অফ মোবাইল। সকালে দাদার ঘর থেকে উদ্ধার হল ভাইয়ের গলাকাটা দেহ। এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার বেজপাড়া এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না অভিযুক্তের।

নিহত যুবকের নাম উজ্জ্বল প্রামাণিক (২২)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ উজ্জ্বলকে ফোন করেছিলেন তাঁর দাদা প্রবীণ প্রামাণিক। সেই মতো সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়োছিলেন উত্তম। রাত ১০টা নাগাদ তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তার পরেও না ফেরায় উত্তমের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তাঁর স্ত্রী মুক্তা। তাঁর দাবি, তখন থেকেই মোবাইলের সুইচড অফ ছিল উত্তমের। এর পর শুক্রবার সকালে তিনি যান উত্তমের দাদা প্রবীণের বাড়িতে। তাঁর দাবি, সেখানে তিনি দেখতে পান, বাড়ি সুনসান। দরজায় ঝুলছে তালা। জানালার ফাঁক দিয়ে তিনি দেখতে পান ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন উজ্জ্বল। শান্তিপুর থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

উজ্জ্বলের আদি বাড়ি শান্তিপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মামদোপাড়ায়। দাদা প্রবীণ প্রামাণিক থাকেন পার্শ্ববর্তী বেজপাড়ায়৷ উজ্জ্বল এবং প্রবীণ ছাড়াও আরও এক ভাই রয়েছে তাঁদের। পারিবারিক অশান্তির কারণে ভিটেছাড়া হতে হয় প্রবীণকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সেই আক্রোশে ভাইকে খুন করেছেন তিনি। উজ্জ্বলের গলায় গাঁথা ছিল একটি কাটারি। পুলিশ সেই ধারালো অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে।

উজ্জ্বলের স্ত্রী মুক্তা বলেন, ‘‘গতকাল রাতে আমার ভাসুর ফোন করে আমার স্বামীকে কাজের জন্য ডেকেছিলেন। উজ্জ্বল সাড়ে ৭টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তার পর রাত ১১টা থেকে ওর ফোন সুইচড অফ। সারা রাত বাড়ি না ফেরায় সকালে দাদার বাড়ি ছুটে যাই। গিয়ে দেখি সব শেষ। সম্পত্তির লোভেই আমার স্বামীকে ভাসুর খুন করেছেন।’’

রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কান্নান এ নিয়ে বলেন, ‘‘দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement