Daily wage worker

Daily wage labourer: দিনমজুর ঘরে বিদ্যুৎ বিল ৯২ হাজার

দিনমজুর রমেনের ঘরে আগামী দিনে আদৌ বিদ্যুৎ সংযোগটুকু থাকবে কিনা, তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ০৭:৪৬
নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব চিত্র।

বিদ্যুতের বিল হাতে পেয়ে চমকে উঠেছিলেন পেশায় দিনমজুর রমেন মণ্ডল।

গোটা মাসে তাঁর বাড়িতে মাত্র তিনটে বাল্‌ব জ্বলে। সেই সঙ্গে শুধু একটা টিভি আর পাখা চলে। তাতেই নাকি বিদ্যুতের বিল এসেছে প্রায় ৯২ হাজার টাকা! কিছুতেই বিলের অঙ্কটা মেলাতে পারছেন না তিনি। কী করে যে এত বিল হল, বুঝতে পারছেন না।

Advertisement

এর পর একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রতিবেশীদের পরামর্শ চান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে রমেন বিদ্যুৎ দফতরে লিখিত ভাবে তাঁর অভিযোগ জানান। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি।

রমেন জানাচ্ছেন, তাঁর পক্ষে এত টাকা কোনও ভাবেই দেওয়া সম্ভব নয়। এই অবস্থায় তিনি স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানকার কর্মীরা তাঁকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, রমেনকে বিলের পুরো টাকাই দিতে হবে। কোনও ভাবেই কম টাকা দেওয়া চলবে না। ফলে, শেষ পর্যন্ত দিনমজুর রমেনের ঘরে আগামী দিনে আদৌ বিদ্যুৎ সংযোগটুকু থাকবে কিনা, তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে।

রমেনের বাড়ি কোতোয়ালি থানার দোগাছি এলাকায়। তাঁর মাটির বাড়ি। সেখানে দিনের আলো নিভলে মাত্র তিনটে বাল্‌ব জ্বলে, এমনটাই দাবি তাঁর। সেই সঙ্গে চলে একটা পাখা ও একটা টিভি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর নামে বকেয়া যে বিদ্যুতের বিল আসে, সেখানে দেখা যায় ছয় মাসের জন্য বিল এসেছে প্রায় ৯২ হাজার টাকা। অর্থাৎ, প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকারও কিছু বেশি। যা একেবারেই অসম্ভব বলে মনে করছেন অনেকেই।

এই বিল কোনও ভাবেই মানতে পারছেন না রমেনও। তিনি বলছেন, “এত দিন আমার প্রতি মাসে আড়াইশো থেকে তিনশো টাকার বিল আসত। সেখানে এত টাকা কী ভাবে হল, তা ব্যাখ্যা করতে পারছেন না বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা।” এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ দফতরের কৃষ্ণনগর ডিভিশনাল ম্যানেজার দীপঙ্কর বৈরাগ্য বলছেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। ঠিক কী হয়েছে, সেটা জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”

আরও পড়ুন
Advertisement