Khadi Mela

খাদি মেলায় আমন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের নেতারা

ভবিষ্যতে যাতে এমন না হয় তা বলেছি।’’ মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, জেলায় নতুন আধিকারিক সবে দায়িত্ব নিয়েছেন। যার জেরে এই ত্রুটি হয়েছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৮
শুরু হল খাদিমেলা।

শুরু হল খাদিমেলা। —নিজস্ব চিত্র।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ারে খাদি মেলার উদ্বোধন হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানের কার্ডে নাম না থাকায় এবং ঠিক মতো আমন্ত্রণ করা হয়নি অভিযোগে তৃণমূলের জন প্রতিনিধিরা প্রশ্ন তুলেছেন। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর থেকে শুরু করে কান্দির বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার তা নিয়ে সরব হয়েছেন। অপূর্ব পুরো ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ জানাবেন বলে শনিবার জানিয়েছেন। তবে খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্লোল খাঁ বলেছেন, ‘‘আমি লজ্জিত, দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে যাতে এমন না হয় তা বলেছি।’’ মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, জেলায় নতুন আধিকারিক সবে দায়িত্ব নিয়েছেন। যার জেরে এই ত্রুটি হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন যাতে না হয় তা তাঁরা দেখবেন।

Advertisement

শনিবার কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেছেন, ‘‘এই জেলায় কিছু আধিকারিক রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের সর্বোচ্চ আধিকারিক ভেবে নিয়েছেন। খাদি বোর্ডের আমিও একদিন ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্লোল খাঁকে পুরো ঘটনা বলেছি।’’ আমন্ত্রণ কার্ড দেখিয়ে অপূর্ব বলেন, ‘‘খাদি মেলার কার্ড পার্টি অফিসে ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছে। এখনও সিপিএমের কিছু আধিকারিক চেয়ার আটকে বসে রয়েছেন। তাঁদের মানসিকতা বাম মানসিকতা। সেই মানসিকতা থেকে আমাদের সহ্য করতে পারেন না। এই জেলায় খাদি মেলা হচ্ছে, অথচ তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কের নাম কার্ডে নেই। এই সব আধিকারিকের বিরুদ্ধে দফতর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আমি আগামী সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’’

শুক্রবার সন্ধ্যায় বহরমপুরে ব্যারাক স্কোয়ারে খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্লোল খানের উপস্থিতিতে খাদি মেলার উদ্বোধন হয়েছে।

হুমায়ুন কবীর উদ্বোধনী মঞ্চে বলেছেন, ‘‘১৫ দিন ধরে এখানে মেলা হচ্ছে। জেলায় ২২ জন বিধায়ক রয়েছেন। দু’জন বিজেপির এবং ২০ জন শাসক দলের বিধায়ক। আমরা আধিকারিকদের কাছে ন্যূনতম সম্মান আশা করি যে বিধায়কদের কার্ডে নাম থাকা উচিত ছিল। চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কার্ডে বিধায়কদের নাম নেই। এমন ভাবে কার্ড পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন আমরা যোগ্য ব্যক্তি না। কিন্তু আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমরা যেমন রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের সম্মান করি, আধিকারিকদের কাছে আমাদের সম্মানও আশা করি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement