TMC

Idris Ali-TMC: ‘শুভাকাঙ্ক্ষীরাই জোগাচ্ছেন অর্থ’

তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে পঞ্চাননতলায় জেলা পরিষদের নবনির্মিত এসি হলে তার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি।

Advertisement
বিদ্যুৎ মৈত্র
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২২ ০৬:৫৯
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

অর্থের বিনিময়ে দলে পদ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিস আলির নামে। ইদ্রিস তা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ায় তৃণমূলের অন্দরে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে ‘দুর্নীতি’ ও ‘তোলাবাজ’ প্রসঙ্গ। অথচ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের মঞ্চে নেতাদের ‘বিত্তবান নয় বিবেকবান’ হতে বলছেন। কিন্তু এখনও দলের নানা ছোট-বড় সভায় খাওয়া দাওয়ার যে ব্যবস্থা থাকে, তাতে ‘বিত্তবান’দের দল বলেই শাসক দলকে মনে হয়। সব মিলিয়ে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হচ্ছে বলে তৃণমূলের নেতাদেরই দাবি।

তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে পঞ্চাননতলায় জেলা পরিষদের নবনির্মিত এসি হলে তার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি। সেই হলের চার ঘণ্টার ভাড়াই ৩২ হাজার টাকা, সঙ্গে ছিল অনুষ্ঠানের আনুষঙ্গিক খরচ। সংগঠনের জেলা সভাপতি ভীষ্মদেব কর্মকার বলেন, “আমরা শাখা সংগঠন। আমাদের সংগঠনের রাজ্য সভাপতি আসবেন বলে সে দিনের খরচ জেলা নেতারাই জুগিয়েছেন।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস বলেন, “সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে হলের ভাড়া একটু কম নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম।”

Advertisement

তবে বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “দলের নাম দিয়ে চাঁদা তোলা বন্ধ হয়েছে এটা সত্যি কথা। কিন্তু দলের ব্যানারে যে সমস্ত অনুষ্ঠান হয় তার বেশির ভাগ সেই সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতারা নিজেরা চাঁদা দেন। কোনও শুভাকাঙ্ক্ষী খরচ জোগাতে চাঁদা দিতে পারেন। সেটা নেওয়া কি অন্যায়?”

পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ রাজীব হোসেন বলেন, “দল বড় হয়েছে। সহযোগীও বেড়েছে। তাঁরাই অর্থের জোগান দেন। চাঁদা তোলা হয় না।”

দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির উপরে জোর দিয়েছেন জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে। কিন্তু তার পরেও তৃণমূল সূত্রেই খবর, সে দিকে হেলদোল নেই কারও। দলের মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর ইউনিটের চেয়ারম্যান আবু তাহের খান বলেন, “আমাদের রক্ত মাংসের শরীর। দোষ-ত্রুটি থাকবেই। রাতারাতি একটি রাজনৈতিক দলকে দুর্নীতিমুক্ত করা খুব কঠিন কাজ। আমাদের নেত্রী ও সর্বভারতীয় সম্পাদক দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ যে দল চাইছেন তা করতে গেলে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছব, তবে সময় লাগবে।” জঙ্গিপুর জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, “এগুলো আমরা অবশ্যই পরবর্তীতে নজরে রাখব।” তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি মইনুল হাসান বলেন, “আগামী ছ’মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূল কংগ্রেস দেখার প্রত্যাশায় আমি আছি।”

আরও পড়ুন
Advertisement