Communal harmony

সম্প্রীতির আবহে অন্য আজান

বুধবার দশমীতে গোবরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পুজো কমিটিগুলি বিসর্জনের দিন নির্ধারণ করেছিল। প্রতিটি পুজো কমিটি শোভাযাত্রা করে বল্লভপাড়া ভাগীরথীর পাড়ে জড়়ো হয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কালীগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৫৭
বিজয়া: সিঁদুর খেলা। কৃষ্ণনগরের একটি মণ্ডপে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

বিজয়া: সিঁদুর খেলা। কৃষ্ণনগরের একটি মণ্ডপে। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

পাশাপাশি দু’টি পড়ায় দুই সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। তাঁরা নিজের-নিজের ধর্মীয় অনুষ্ঠান-পার্বণ নিজেদের মতো পালন করেন। এ বারে দুর্গা পুজোয় সৌহার্দ্যের অনন্য নজির দেখা গেল কালীগঞ্জের গোবরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বল্লভপাড়ায়। সেখানে প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রায় সমস্যা এড়াতে আজানের সময় একটু পিছিয়ে দিলেন খাসপাড়া মসজিদ কমিটির সদস্যেরা।

বুধবার দশমীতে গোবরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পুজো কমিটিগুলি বিসর্জনের দিন নির্ধারণ করেছিল। প্রতিটি পুজো কমিটি শোভাযাত্রা করে বল্লভপাড়া ভাগীরথীর পাড়ে জড়়ো হয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেয়। কানাইনগর বারোয়ারি পুজো কমিটির প্রতিমা মূল রাস্তায় আনতে হলে খাসপাড়া উপর দিয়েই আনতে হয়। রাস্তায় ধারে খাসপাড়ার মসজিদ। মসজিদের সামনে প্রতিমা পৌঁছতেই সাহামান-সেলিমরা শোভাযাত্রা এলাকা পার করিয়ে দেন যত্ন নিয়ে।

Advertisement

সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যার আজান ছিল ৭টা বেজে ২০ মিনিটে। ওই সময় পুজো কমিটি প্রতিমা নিয়ে মসজিদের সামনে চলে আসায় হঠাৎ মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আজান একটু পিছিয়ে দেওয়া হবে। প্রতিমা চলে যাওয়ার পরেই আজান শুরু হবে। এই বিষয়ে ওই পুজো কমিটির সঙ্গে জড়িত জগন্নাথ মিত্র বলেন, ‘‘আমরা সারা বছরই মিলে মিশে থাকি। উৎসব তো সকলের। এটাই স্বাভাবিক।’’ আবার খাসপাড়া মসজিদ কমিটির সদস্য সেলিম শেখের কথায়, ‘‘উৎসব সকলের। ওঁরা আজানের সময় প্রতিমা নিয়ে মসজিদের সামনে চলে এসেছেন দেখে আমরা আজান পিছিয়ে দিয়েছি। আমরা সারা বছর এক সঙ্গে চলি ও চলব। আমরাই দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিমা এগিয়ে দিয়েছি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement