Recruitment Scam

অবশেষে সিআইডির হাতে ধরা পড়লেন অনিমেষ

গ্রেফতার হন তৎকালীন মুর্শিদাবাদের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পুরবী দে বিশ্বাস, ওই দফতরের অবসরপ্রাপ্ত করণিক অঞ্জনা মজুমদার ও কর্মরত করণিক নিত্যগোপাল মাঝি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৩ ০৭:৪৬
ধৃত অনিমেষ তিওয়ারি। নিজস্ব চিত্র

ধৃত অনিমেষ তিওয়ারি। নিজস্ব চিত্র

অবশেষে সিআইডির হাতে শুক্রবার সকালে ধরা পড়লেন চাকরিতে নিয়োদ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অনিমেষ তিওয়ারি। তাঁর বিরুদ্ধে নথিপত্র জাল করে সুতির গোঠা হাইস্কুলে শিক্ষকতা পদে চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ দিন জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসছিলেন অনিমেষ। আদালতের দু’টি ফটকেই অপেক্ষায় ছিলেন সিআইডির অফিসারেরা। অনিমেষ আদালতে ঢোকার মুখে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁকে ওই আদালতেই পেশ করলে অনিমেষের দশ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে।

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে গত ১৯ জানুয়ারি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমরকুমার শীল সুতি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সুতির গোঠা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি ও তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারির বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, একাধিক সরকারি নির্দেশ জালিয়াতি করে নিজের স্কুলে তাঁর ছেলে অনিমেষকে শিক্ষকতার পদে বহাল করেছেন আশিসবাবু। বিষয়টি প্রথম হাই কোর্টের নজরে আনেন সোমা রায় নামে এক চাকরিতে বঞ্চিত মহিলা। সিআইডি আশিসবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়, পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

পরে গ্রেফতার হন তৎকালীন মুর্শিদাবাদের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পুরবী দে বিশ্বাস, ওই দফতরের অবসরপ্রাপ্ত করণিক অঞ্জনা মজুমদার ও কর্মরত করণিক নিত্যগোপাল মাঝি।বর্তমানে সকলেই জামিনে মুক্ত রয়েছেন। ওই মামলায় চার্জশিটও দিয়েছে সিআইডি। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও অনিমেষকে ধরতে পারেনি সিআইডি। শুক্রবার জঙ্গিপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসছিলেন অনিমেষ। যে কোনও ভাবে তা জানতে পারেন সিআইডি অফিসারেরা। তারপরই আদালতে ঢোকার মুখে তাঁকে ধরে ফেলেন এবং সোজা বহরমপুরে নিয়ে যাওয়া হয় অনিমেষকে।

চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকেও। তাঁর বাড়িতে টানা তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সে সময় তিনি দু’টি মোবাইল সামনের পুকুরে ফেলে দেন বলেও অভিযোগ ওঠে। পরপর এমন ঘটনায় শিক্ষাবিদেরা উদ্বিগ্ন।

আরও পড়ুন
Advertisement