Killing with poison

‘মায়ের মুখে বিষ ঢেলে দেয় বাবা’! একরত্তির বয়ানে গৃহবধূ খুনের রহস্য ভেদ করল মুর্শিদাবাদ পুলিশ

রুকসানার নাবালিকা কন্যা তদন্তকারীদের জানায়, মাকে মারধরের পরে গলা টিপে ধরেছিলেন বাবা। এর পরে মুখে কিছু ঢেলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কী ঢালা হয়েছিল, তা অবশ্য জানে না খুদে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জিয়াগঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:২২
— Representative Image

— প্রতীকী চিত্র।

বার বার তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছ থেকে আড়াল করা হচ্ছিল শিশুটিকে। কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছিল না মামাবাড়ির লোকজনকেও। আর তাতেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। শিশুটিকে উদ্ধার করে গল্পের ছলে তার কাছে সে দিনের ঘটনা জানতে জানতে চায় পুলিশ। মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জ থানার আমিনাবাজারের একরত্তি সটান বলে দেয়, তার সামনেই খুন হয়েছেন মা! আর তাই ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল তাকে। শিশুকন্যার বয়ানের ভিত্তিতে বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বছর চারেক আগে সাগরদিঘির দস্তুরহাট গ্রামের বাসিন্দা রুকসানা খাতুনের সঙ্গে জিয়াগঞ্জের আমিনাবাজারের বাসিন্দা নেশকাতুন ইসলাম নামে এক যুবকের বিয়ে হয়। এক কন্যার মা রুকসানা জিয়াগঞ্জ শ্রীপত সিংহ কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করতেন। রবিবার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় রুকসানার। শিশুকন্যা তদন্তকারীদের জানায়, মাকে মারধরের পরে গলা টিপে ধরেছিলেন বাবা। এর পরে মুখে কিছু ঢেলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কী ঢালা হয়েছিল, তা জানে না খুদে।

রুকসানার স্বামী নেশকাতুন সৌদি আরবে কাজ করতেন। সেই কারণে রুকসানা নাবালিকা কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি দস্তুরহাট গ্রামে থাকতেন। মাসখানেক আগে সৌদি থেকে ফেরেন রুকসানার স্বামী। তার পর বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর সঙ্গে থাকতে শ্বশুরবাড়ি জিয়াগঞ্জে ফিরে আসেন রুকসানা। মৃতার আত্মীয়দের দাবি, বিয়েতে প্রচুর পণ দেওয়া হয়েছিল। তবুও, আরও টাকা এবং অন্যান্য জিনিসের দাবিতে চাপ দেওয়া হত রুকসানাকে। সম্প্রতি নেশকাতুন নতুন একটি মোটরবাইকের বায়না করতে শুরু করেন। এ জন্য রুকসানাকে বাড়ি থেকে অর্থ আনার জন্য নিয়মিত চাপ দেওয়া হত। অভিযোগ, নিয়মিত চলত মারধরও। তার পরেই এই ঘটনা।

রুকসানার দিদি শিল্পী খাতুন বলেন, ‘‘আমার বোন সব অত্যাচার সহ্য করেও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে থাকত। তার পরেও মেয়ের এই পরিণতি হল! আমরা চাই, নেশকাতুন এবং বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।’’

মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিবারের একাধিক সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন
Advertisement