—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র নদিয়ার দত্তফুলিয়া। সেখানে সংঘর্ষে জড়াল বিজেপি ও তৃণমূল। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দত্তফুলিয়া পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ৩০। সেখানে বিজেপি এবং তৃণমূল দুই দলই ১৪টি করে আসন পেয়েছে। বাকি দু’টি আসনে জেতে সিপিএম। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের সময় প্রধান এবং উপপ্রধান নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূল দুই দলের প্রস্তাবিত সদস্যেরাই ১৫টি করে ভোট পান। পঞ্চায়েত কাদের দখলে থাকবে, তা নিয়ে জট তৈরি হতেই গোলমাল বাধে দুই দলের মধ্যে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেই বচসা থেকে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দত্তপুলিয়া পঞ্চায়েত অফিসের চত্বর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত অফিসের পিছনে গুলি, বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরাই গুলি চালিয়েছেন। পাল্টা শাসক শিবিরের দাবি, বিজেপি সমর্থকেরাই প্রথমে তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির নদিয়া দক্ষিণের জেলা সভাপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ছাপ্পা ভোটে জয়লাভের পর যে কটা বুথ বিরোধীরা আগলে রেখেছিল, ভয় দেখিয়ে ওই জয়ী সদস্যদের মতামত প্রভাবিত করা হচ্ছে। বন্দুক, গুলি ব্যবহার করে পঞ্চায়েতের বোর্ড দখলের চেষ্টা করছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূল বোর্ড দখলের পর বিজেপি ইচ্ছাকৃত ভাবে গন্ডগোল বাধায়।’’