Central Team

মোটরবাইকে ঘুরে পরিদর্শন

উপভোক্তাদের আবাস যোজনার বাড়ি থেকে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। বেশ কিছু বাড়িতে গিয়ে তারা দেখতে পায় আবাস যোজনার কাজের গরমিল বলেও দাবি উঠেছে।

Advertisement
সুজাউদ্দিন বিশ্বাস
ডোমকল শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৩৫
Central Government team travelling by motorbike at Domkal

মোটরবাইকে: কেন্দ্রীয় দল। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম

গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের সামনে নীল বাতিওয়ালা গাড়ি ফেলে মোটরবাইকে চেপে এলাকায় চক্কর কাটলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। বুধবার সকাল থেকে এমন দৃশ্য দেখল ডোমকলের ঘোড়ামারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ। যদিও কেন এই মোটরবাইক চেপে অভিযান, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ওই প্রতিনিধিরা।

দলের দুই সদস্য এ দিন গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনে পৌঁছনোর পর দু’টি মোটরবাইকে চেপে রওনা হন এলাকার বিভিন্ন গ্রামে। উপভোক্তাদের আবাস যোজনার বাড়ি থেকে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। বেশ কিছু বাড়িতে গিয়ে তারা দেখতে পায় আবাস যোজনার কাজের গরমিল বলেও দাবি উঠেছে। সূত্রের খবর, আবাস যোজনার নকশা না মেনে বাড়ি তৈরি একাধিক জায়গায় নজরে আসে তাঁদের। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের আরফাতন বিবি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল গোটা এলাকায় ঘুরে দেখেছেন। তাঁরা যেখানে যেতে চেয়েছেন, সেখানে নিয়ে গিয়েছেন পঞ্চায়েতের কর্মীরা। সরকারি প্রকল্পের কাজ হয়েছে। বিরোধীরা রাজনৈতিক কারণে এমন অভিযোগ তুলছে।’’

Advertisement

দিন কয়েক আগেও ডোমকলের ঘোড়ামারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। তার পরে আবারও এ দিন এলাকায় ওই দলের পা পড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে জল্পনা দেখা দিয়েছে। বিরোধীদের দাবি, ঘোড়ামারা গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতির পাহাড় জমেছে। যার ফলে কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা আবার ফিরে এসেছেন সেখানে। যদিও পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের আরফাতন বিবি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত এলাকায় যাবতীয় নিয়ম মেনে সরকারি প্রকল্পের কাজ হয়েছে।’’

তবে নীল বাতির গাড়ি ছেড়ে হঠাৎ করে এই মোটর বাইক চড়ে এমন অভিযান চালানোই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষের মনে। অনেকেই মনে করছেন সাধারণ মানুষের কাছে একেবারে সাধারণ ভাবেই পৌঁছতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। তা ছাড়া প্রত্যন্ত এলাকায় একেবারে সরু পথে পৌঁছানোর সুবিধার্থে মোটরবাইক ব্যবহার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পঞ্চায়েত সূত্রে।

এ দিন সকাল ১০টা থেকে ওই অভিযান শুরু করে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত চলে খতিয়ে দেখার কাজ। পরে ওই দলের দুই প্রতিনিধি পৌঁছন বিডিও-র দফতরে।

আরও পড়ুন
Advertisement