bomb blast

ফরাক্কায় বোমা ফেটে জখম তিন শিশু, বল ভেবে খেলতে গিয়ে অঙ্গনওয়াড়ির সামনেই বিস্ফোরণ

ফরাক্কার ইমামনগর পঞ্চায়েত এলাকার একটি স্কুলে যাচ্ছিল তিনটি শিশু। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বলের মতো কিছু পড়ে থাকতে দেখে তারা খেলা শুরু করতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। জখম হয় তিন শিশু।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ফরাক্কা শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১২:১১
representational image

— প্রতীকী ছবি।

মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় বোমা ফেটে জখম তিন শিশু। জানা গিয়েছে, ফরাক্কার ইমামনগর পঞ্চায়েত এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ির সামনে বলের মতো দেখতে কিছু পড়ে ছিল। স্কুলের পথে যেতে যেতে তিনটি শিশু তাকে বল ভেবে খেলতে শুরু করে। তখনই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। জানা গিয়েছে, সকালে শিশুরা খিচুড়ি আনতে স্কুলে যাচ্ছিল। মাঝপথে এই ঘটনা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, ফরাক্কার ইমামনগর পঞ্চায়েত এলাকায় বুধবার সকালে স্কুলে যাচ্ছিল পড়ুয়ারা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সঙ্গেই চলে স্কুল। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তখন খিচুড়ি রান্না চলছিল পুরোদমে। কথা ছিল, রান্না শেষ হলে খিচুড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরবে সকলে। ছাত্ররা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনের মাঠে খেলাধুলো করছিল। তখন এক শিশুর নজরে পড়ে, কাছেই পড়ে রয়েছে গোল মতো বেশ কয়েকটি জিনিস। খেলার বল ভেবে শিশুটি বোমা হাতে তুলে নেয়। সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। আহত হয় বল ভেবে খুশি হয়ে ওঠা আরও দু’টি শিশু।

এ দিকে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। ছুটে আসেন রান্নার কাজ করা রাঁধুনিরা। গ্রামবাসীদের সহায়তায় তিনটি শিশুকেই উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে অকুস্থলে চলে আসে পুলিশও। এই ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা।

জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের অভিঘাতে তিনটি শিশুর শরীরের বেশ কিছুটা অংশ ঝলসে গিয়েছে। শিশুদের শরীরে বেশ কয়েকটি বোমার স্প্লিন্টার পাওয়া গিয়েছে। যে শিশুটি বোমা হাতে তুলেছিল তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।

মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘ঘটনার খবর পেয়ে ফরাক্কা থানার পুলিশ অকুস্থলে পৌঁছয়। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা লাগাতার ঘটে চলেছে মুর্শিদাবাদে। এ বার সেই বোমার ঘায়ে আক্রান্ত হল শৈশব। কে বোমা রাখল, কেনই বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বোমা রাখা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আরও পড়ুন
Advertisement