Women Trafficking

খদ্দের সেজে মহিলা পাচার চক্রের ‘বড় মাথা’কে ধরল পুলিশ, ব্যারাকপুর থেকে ধৃত বাংলাদেশি ‘ব্যবসায়ী’

পুলিশ সূত্রের খবর, নদিয়ার ভীমপুরের রাঙিয়াপোতা এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পালানোর সময়ে বিএসএফ এক মহিলা এবং এক যুবককে আটক করে। ধৃত যুবকের নাম নাসির মোল্লা। দু’জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩১

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

খদ্দের সেজে আন্তর্জাতিক মহিলা পাচার চক্রের এক বড় মাথাকে ধরল পুলিশ। জানা যাচ্ছে, নদিয়ায় দায়ের হওয়া একটি মামলার তদন্তে নেমে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতকে আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, নদিয়ার ভীমপুরের রাঙিয়াপোতা এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পালানোর সময়ে বিএসএফ এক মহিলা এবং এক যুবককে আটক করে। ধৃত যুবকের নাম নাসির মোল্লা। দু’জনকে ভীমপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা। ধৃত নাসিরের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক মানব পাচারচক্রের এক দালালের কথা জানতে পারে পুলিশ। তার পরেই বাহারুল মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তকে চাপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের টানা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে জানা যায়, মাস চারেক আগে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের দালাল মারফত ভারতে প্রবেশ করেছিলেন গ্রেফতার হওয়া মহিলা। বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে তিনি ভারতে আসেন বলে জানান। সেখান থেকে নাসির এবং বাহারুলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। এঁদের মাধ্যমে ব্যারাকপুরের বাসিন্দা মানিকের সঙ্গে মহিলার পরিচয় হয়। তাঁর দাবি, মানিকই তাঁকে দেহব্যবসার কাজে নামান। বনগাঁ-সহ বিভিন্ন এলাকার হোটেলে তাঁকে দিয়ে দেহব্যবসা করানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ‘খদ্দের’ সেজে মানিককে টোপ দিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার একটি হোটেলে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ওই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার ডিএসপি শিল্পী পাল বলেন, ‘‘মানিক এই চক্রের ‘কিং পিন’। অভিযান চালিয়ে তাঁকে ঘোলা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।‌ পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অভিযুক্তকে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন