Drinking water

Krishnanagar: পানীয় জলে পাটপচা গন্ধ! খেয়ে বধূর মৃত্যুর অভিযোগ কৃষ্ণনগরে

সম্প্রতি কৃষ্ণনগর নাগরিক পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পুরসভার পানীয় জলে পাটপচা গন্ধ। যা পান করা তো দূর, অন্য কাজেও ব্যবহার করা যায় না।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২২ ২২:৫৭

নিজস্ব চিত্র

পুরসভার পানীয় জল খেয়ে এক বধূর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। শুধু তাই নয়, আরও পাঁচ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়েছে। দিন কয়েক আগেই পানীয় জল দূষিত হয়ে পড়ার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় কৃষ্ণনগর পুর এলাকায়। শনিবার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুধারানি দাসের মৃত্যুর ঘটনায় তা অন্য মাত্রা পেল।

সম্প্রতি কৃষ্ণনগর নাগরিক পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পুরসভার পানীয় জলে পাটপচা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। যা পান করা তো দূর, অন্য কাজেও ব্যবহার করা যায় না। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু জায়গার জল গাঢ় হলুদ রঙের। অতিমাত্রায় ফ্লোরাইডের উপস্থিতিতে এমন রং হয় বলে দাবি। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর সুমিত ঘোষের অভিযোগ, পুরসভায় বিষয়টি একাধিক বার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার ওয়ার্ডে এক জনের মৃত্যু আর পাঁচ জনের অসুস্থ হয়ে পড়ার দায় আমার উপরেই বর্তায়। কিন্তু পুরসভা একেবারেই উদাসীন ছিল। কর্ণপাত করেনি।’’

Advertisement

পুরসভার গাফিলতিতেই ওই বধূর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আরও এক নির্দল কাউন্সিলর অয়ন দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই এই পুরসভা পরিচালিত হয়। তাই নাগরিকদের এত দুর্ভোগ। অবিলম্বে পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়া উচিত। গাফিলতির দায়ে পদত্যাগ করা উচিত চেয়ারম্যানের।’’

বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া আহ্বায়ক সন্দীপ মজুমদার বলেন, ‘‘অবিলম্বে মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় যাঁরা ভর্তি, তাঁদের পঞ্চাশ হাজার টাকা করে রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। অবিলম্বে ঘোষণা না করা হলে আন্দোলন হবে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এস এম সাদ্দি বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তাদের কাছে ন্যূনতম জল পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারে না এঁরা।’’

এই গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান রিতা দাস বলেন, ‘‘বিরোধী কাউন্সিলর ও বিরোধী রাজনৈতিক দলে নেতারা পুর পরিষেবাকে কলুষিত করতে এই ধরনের ঘৃণ্য চক্রান্ত করছেন।’’

আরও পড়ুন
Advertisement