ধর্ষণ করে খুনের সন্দেহ
Murder

Murder: বাড়ির পাশে দেহ মিলল নাবালিকার

মৃতার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়ের উপর যৌন-নির্যাতন চালানো হয়েছে। সে দুর্বৃত্তকে চিনে ফেলায় পরে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ফরাক্কা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২১ ০৭:৫৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আট বছরের এক বালিকাকে খুনের অভিযোগ উঠল ফরাক্কার এক গ্রামে। পরিবারের সন্দেহ, ওই বালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখছে।

শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ পাশেই এক চায়ের দোকানে টিভি দেখতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল ওই বালিকা। কিন্তু গভীর রাত হয়ে গেলেও সে ফেরেনি। রাতে খোঁজ করে বালিকার সন্ধান মেলেনি। এরপর শনিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নদীর পাড় থেকে তার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। পরে ফরাক্কা থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

Advertisement

মৃতার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়ের উপর যৌন-নির্যাতন চালানো হয়েছে। সে দুর্বৃত্তকে চিনে ফেলায় পরে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর মেয়ের মুখে আঁচড়ের দাগ পাওয়া গিয়েছে। তিনি এ দিন বলেন, ‘যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তারা আমাদের পরিচিত কেউ বলে আমি নিশ্চিত। সম্ভবত আমার মেয়ে ওদের চিনে ফেলায় ওকে প্রাণেও মেরে ফেলা হল।’’ এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছে নাবালিকার পরিবার। জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি। তাঁর কথায়, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। একজন অভিজ্ঞ পুলিশ অফিসার এই ঘটনার তদন্ত করছেন। দোষী উপযুক্ত শাস্তি পাবে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারটি আগে দিল্লিতে থাকত। কয়েক বছর আগে তারা ওই গ্রামে এসে বসবাস শুরু করে। অতি দুঃস্থ পরিবারটি। ওই পরিবারের কর্তা পেশায় ফেরিওয়ালা। তবে করোনা আবহে বাড়িতেই রোজগারহীন হয়ে দিন কাটছে তাঁর। অন্যের সাহায্যে কোনওরকমে সংসার চলে তাঁদের। এতদিন কাঁচা বাড়ি ছিল। সম্প্রতি ‘বাংলা আবাস’ প্রকল্পে ঘর পেয়েছে পরিবারটি। মৃতার মা জানান, বাড়িতে টিভি নেই। কিন্তু তাঁর মেয়ে টিভি দেখতে ভালবাসত। পাশেই চায়ের দোকানে টিভি চলে। মেয়ে প্রায় প্রতিদিন সন্ধের পর সেই দোকানে কিছু ক্ষণের জন্য টিভি দেখতে যেত। ওইদিনও রাতের খাওয়াদাওয়ার পর টিভি দেখতে গিয়েছিল ওই বালিকা। কিন্তু রাত ১০টা বেজে গেলেও সে বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর শুরু হয়। ততক্ষণে চায়ের দোকানও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাশেই একটি মাঠে নৈশ ক্রিকেট খেলা চলছিল। সেখানে গিয়ে খুঁজে দেখেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু রাতে কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। মৃতার কাকা বলেন, “সকালে গিয়ে দেখি নদীর পাড়ে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে রয়েছে ও। মুখের বিভিন্ন জায়গায় নখের আঁচড়ের দাগ। আমরা নিশ্চিত, ওকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগেও একই জায়গায় এক বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল।

আরও পড়ুন
Advertisement