Physical Illness

মনোনয়নে অন্তরায় অসুস্থতা, তাহেরই কি লোকসভায় প্রার্থী

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে জেলার দলীয় নেতাদের ডেকে আলোচনা করেছেন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সূত্রেই আভাস মিলেছে, জঙ্গিপুরে ফের খলিলুর রহমানকেই প্রার্থী করার ব্যাপারে কোনও দ্বিমত নেই দলে।

Advertisement
বিমান হাজরা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৯
An image of Abu Taher

আবু তাহের।  —নিজস্ব চিত্র।

লোকসভায় নিজের কেন্দ্র জঙ্গিপুরে ফের তৃণমূলের টিকিট পাচ্ছেন খলিলুর রহমান। তবে তৃণমূল সূতরেই খবর, আবু তাহেরের মুর্শিদাবাদে পুনরায় মনোনয়ন পাওয়ার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর শারীরিক অসুস্থতা।

Advertisement

লোকসভা নির্বাচন নিয়ে জেলার দলীয় নেতাদের ডেকে আলোচনা করেছেন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সূত্রেই আভাস মিলেছে, জঙ্গিপুরে ফের খলিলুর রহমানকেই প্রার্থী করার ব্যাপারে কোনও দ্বিমত নেই দলে। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে দলের বর্তমান সাংসদ আবু তাহেরকেও পুনরায় প্রার্থী করতে অসম্মতি ছিল না দলের। তিনি যে দলনেত্রীর আস্থাভাজন, তা বারবার বোঝা গিয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে লোকসভায় প্রার্থী করার ব্যাপারে প্রধান অন্তরায় তাঁর অসুস্থতা। সম্প্রতি তাঁকে হাসপাতালে দেখে এসেছেন খলিলুর। তিনি বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত চিকিৎসায় তাঁর কথাবার্তার জড়তা কেটেছে। কিন্তু হাত, পা নাড়ানোতে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসকেরা আশ্বাস দিয়েছেন, মাস দুয়েকের মধ্যেই তা কেটে যাবে। লোকসভা নির্বাচন একটা বড় ধকল তো বটেই। তবে প্রার্থী বাছাই হয় দলনেত্রীর সিদ্ধান্তে। জেলায় কারা প্রার্থী হবেন তা তিনিই বলতে পারবেন। হাতেও অনেকটা সময় রয়েছে।’’ নওদার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সফিউজ্জামান শেখ সম্পর্কে তাহেরের নিজের ভাগ্নে। তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচন এখনও ৭-৮ মাস দেরি আছে। কাজেই এতদিনে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। ভোটে দাঁড়াতেও কোনও সমস্যা হবে না।’’

কিন্তু প্রশ্ন, তাহের যদি অসুস্থতার কারণে সরে যান তবে ওই আসনে তার বিকল্প কে হবেন, জেলারই কেউ ,নাকি বাইরের কোনও সেলিব্রিটি? জেলা জুড়েই ঘুরপাক খাচ্ছে এ প্রশ্ন কর্মী মহলে।

দলের এক জেলা নেতার কথায়, ৭টি বিধানসভা নিয়ে একটি লোকসভা কেন্দ্র। টানা এক থেকে দেড় মাস ছুটে বেড়াতে হবে প্রার্থীকে। আবু তাহেরের পক্ষে সেটা সম্ভব হবে কি না দলের নজরে রয়েছে সেটাই। বিশেষ করে আই প্যাকের সদস্যরা তার শারীরিক অবস্থা দেখে সবুজ সঙ্কেত দিলে তবেই আবু তাহের খানকে এ বারে মনোনয়ন দেবে দল।

তাহের নিজের সাংসদ এলাকা হাতের তালুর মতোই চেনেন। তাঁর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে বহু মানুষের। প্রায় ১০ বছর পঞ্চায়েত সভাপতি, ২০ বছর বিধায়ক থেকেছেন জেলায়। ২০১৯ সালে লোকসভায় জেতেন। জেলা সভাপতিও থেকেছেন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে তিনি অসুস্থ।

আরও পড়ুন
Advertisement