Student death

এয়ারগানের গুলিতে হত ছাত্রী

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুসলিমা খেলতে খেলতেই চলে গিয়েছিলেন পাশের বাড়িতে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ডোমকল শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৫৩
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

এয়ারগানের গুলিতে মারা গেল চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ডোমকল থানার ঘোড়ামারা গ্রামে। মৃত ঘোড়ামারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর নাম মুসলিমা খাতুন (১০), তার বাড়ি ডোমকল থানার কুপিলা গ্রামে হলেও ছোটবেলা থেকেই সে ঘোড়ামারা গ্রামে দাদুর (নানা) বাড়িতেই থাকত।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দাদুর বাড়ির পাশের বাড়িতে খেলতে গিয়েছিল মুসলিমা। সেখানেই রাজু মণ্ডল নামের এক তরুণ এয়ারগান নিয়ে খেলা করছিল, তখনই অনবধানে গুলিবিদ্ধ হয় মুসলিমা। মুসলিমার পরিবারের তরফে ডোমকল থানায় ওই তরুণ ছাড়াও তার সঙ্গে থাকা মোশারফ হোসেন নামের আরও এক তরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ওই ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের হয়েছে, রাজুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মোশারফ এখনও অধরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুসলিমা খেলতে খেলতেই চলে গিয়েছিলেন পাশের বাড়িতে। সেখানে বেশ কিছু কচিকাঁচার সঙ্গে খেলার সময় রাজুর হাতে থাকা এয়ারগান থেকেই গুলি ছুটে আসে মুসলিমার বুকে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ইচ্ছে করে ওই ঘটনা ঘটায়নি রাজু। কোনও ভুলের কারণে এমনটা হয়ে গিয়েছে। মুসলিমার মা কল্পনা বিবি বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি রাজু ও মোশারফ নামের দুই তরুণের কারণেই ওই ঘটনা ঘটেছে। আমরা ওদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করেছি। এখন বাকিটা পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।’’ তবে যে এয়ারগান দিয়ে গুলি চালানো হয় সেটি উদ্ধার হয়নি। ফলে পুলিশ গ্রেফতার হওয়া রাজুকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে এয়ারগান থেকে গুলি ছড়া হয়েছে সেটি খুব সাধারণ মানের নয়। মূলত স্পোর্টস এয়ারগান বলেই জানতে পেরেছে পুলিশ। কিন্তু এ ধরনের এয়ারগান রাজুর হাতে এল কী করে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, ‘‘গত গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় স্থানীয় এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বিরোধীদের ভয় দেখানোর জন্য ওই দামি এয়ারগানটি কিনেছিল। রাজু তার কাছের লোক হওয়ায় সেটি তার কাছেই ছিল।’’ যদিও পুলিশের দাবি, রাজু ওই এয়ারগানটি তার বলেই স্বীকার করেছে। অন্য দিকে অপর অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন পলাতক। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মুসলিমার বাবা সিনারুল হালসানা বলছেন, "মেয়ে ছোটবেলা থেকেই নানা বাড়িতে থাকতে পছন্দ করত। ফলে আমরাও তাকে আটকায়নি। কিন্তু এ ভাবে অকালে মেয়েকে হারাতে হবে কখনও কল্পনাও করিনি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement