—প্রতীকী ছবি।
ত্রিশঙ্কু অবস্থা পঞ্চায়েতে। বোর্ড গঠনের আগে নদিয়ার রানাঘাটের সেই পঞ্চায়েতেরই এক জয়ী নির্দল প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হল। বিরোধীদের অভিযোগ, ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতেই পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে জয়ী নির্দল প্রার্থীকে গ্রেফতার করিয়েছে তৃণমূল। শাসকদল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই জয়ী নির্দল প্রার্থী গোপাল ঘোষকে রবিবার গ্রেফতার করে রানাঘাট থানার পুলিশ। ঘটনাচক্রে, গোপাল আগে তৃণমূলেই ছিলেন। হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদেও থেকেছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল তাঁকে সাসপেন্ড করে। এর পর নির্দল হিসাবেই ভোটে লড়ে জেতেন গোপাল। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে ২০২২ সালে হবিবপুর বিডিও অফিসে একটি গন্ডগোলের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার তাঁকে রানাঘাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেছে পুলিশ।
হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২২। তার মধ্যে ১১টি আসনে জিতেছে শাসকদল তৃণমূল, বিজেপি পেয়েছে আটটি। আর নির্দল প্রার্থীরা জেতেন তিনটি আসনে। গোপালের অনুগামীদের দাবি, পঞ্চায়েতে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাইনি বলেই চক্রান্ত করে গোপালকে গ্রেফতার করানো হয়েছে। এই অভিযোগে পথ অবরোধেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। একই অভিযোগ করেছে বিজেপিও। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘মানুষের রায় তৃণমূলের বিপক্ষে গিয়েছে। জনমতের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবহার করে বোর্ড গঠন করতে চাইছে তৃণমূল। অবিলম্বে মুক্তি না দিলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।’’
পাল্টা তৃণমূলের রানাঘাট সংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রশাসনিক ব্যাপারে দলীয় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে তৃণমূল। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে।’’