—নিজস্ব চিত্র।
২৪ ঘণ্টা আগে থেকেই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়েছিল ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। ভোটকেন্দ্রের প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজ্য পুলিশের আট জন কনস্টেবল। ভোটদাতাদের লাইনে নিরাপত্তা দিতে মজুত ছিল কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর ধাঁচে ছাপা জলপাই রঙের পোশাকে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশের বিশেষ বাহিনী। এরিয়া ডমিনেশনের জন্য এসডিপিওর নেতৃত্বে সশস্ত্র পুলিশের প্রায় ৩০ জনের বাহিনীও মোতায়েন ছিল। ভোটারদের দাবি, স্কুল পরিচালন সমিতির ভোটে নিরাপত্তার এমন বহর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে তো ছাপিয়ে গিয়েছে। বিধানসভা, এমনকি লোকসভার নির্বাচনের নিরাপত্তাকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে!
রবিবার মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানা এলাকার কুমারপুর নেসারুদ্দিন হাই মাদ্রাসার পরিচলন সমিতির নির্বাচন ছিল। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৪০০। বিগত দু’বছর নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন না হওয়ায় পরিচালন সমিতির নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা ছিল এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিধানসভা ও লোকসভা ভোটে নটিয়াল এলাকায় তৃণমূলের একাধিপত্য থাকলেও, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যথেষ্টই শক্তিশালী হয়েছে বাম-কংগ্রেস। মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরিবেশও তৈরি হয়েছিল। স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে যে কোনও মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। পুলিশ সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে ভোটকেন্দ্রে ৭২ জন পুলিশ এবং ২৮ জন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন।
স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে আসা অভিভাবক রাজ্জাক মণ্ডল বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে একজন লাঠিধারী পুলিশ ছিল। লোকসভা নির্বাচনে দু’জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর। বুথে বোম পড়লেও কাউকে ডেকে পাওয়া যায়নি। আজ স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে এত পুলিশ! খানিকটা তো অবাক হচ্ছি।’’ ডোমকলের এসডিপিও শেখ সামসুদ্দিন বলেন, ‘‘স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তাই আগাম প্রস্তুতি হিসাবেই জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রশাসনের একমাত্র লক্ষ্য।’’