Car Accident

ঠাকুমা এবং নাতির মৃত্যু! কলকাতা থেকে নদিয়া ফেরার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়ল পুরো পরিবার

গাড়ির সামনের দিকের আসনে এক বছরের নাতিকে নিয়ে বসেছিলেন ঠাকুমা। রাস্তার পাশে থাকা একটি অশ্বত্থ গাছে ধাক্কা মারে গাড়িটি। তাতে দু’জনেরই অকুস্থলে মৃত্যু হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
চাপড়া শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১১:১৯
car accident

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পুজোর ছুটিতে কলকাতায় আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন সবাই। শুক্রবার গাড়ি নিয়ে নদিয়ার বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। কিন্তু পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একই পরিবারের দুই সদস্যের। পরিবারের বাকি তিন সদস্য আশঙ্কাজন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোর ৪টে নাগাদ দুর্ঘটনা হয় নদিয়ার চাপড়া থানার চারাতলা এলাকায়। অতিরিক্ত গতি এবং অন্ধকারে কুয়াশার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন গাড়ির চালক। রাস্তার পাশে থাকা একটি বড় অশ্বত্থ গাছে ধাক্কা মারে গাড়িটি। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ির সামনের অংশ। গাড়ির সামনের দিকের আসনে এক বছরের নাতিকে বসেছিলেন ঠাকুমা। দুর্ঘটনায় অকুস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিশুটির নাম আবির প্রামাণিক। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ঝর্ণা প্রামাণিক নামে এক প্রৌঢ়ার। পাশাপশি, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই পরিবারের বাকি তিন সদস্যকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের বাড়ি পলাশিপাড়া থানার তেহট্ট হাঁসপুকুরিয়ায়। শুক্রবার মধ্যরাতে কলকাতা থেকে একটি চার চাকার গাড়িতে ফিরছিলেন ওই পরিবারের সদস্যেরা। পুলিশ জানিয়েছে, নাতিকে নিয়ে গাড়ির চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন ঝর্ণা দেবী। গাড়ির গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় দুর্ঘটনায় গাড়ির সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। প্রৌঢ়া এবং তাঁর কোলে থাকা শিশুটির মাথা থেঁতলে যায়। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, গাড়ির চালক অভিজিৎ মণ্ডলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। শনিবার সকালে স্থানীয়দের নজরে আসে বিষয়টি। তাঁরা উদ্ধারকাজ চালানোর পাশাপাশি খবর দেন পুলিশে। প্রথমে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তিন জনকে স্থানান্তরিত করা হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি উদ্ধার করেছে চাপড়া থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন
Advertisement