গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
নবান্ন অভিযানে অশান্তি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে তাঁর বার্তা, এ বার বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করার সময় এসেছে ভারতের।
বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে কলকাতা এবং হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে মঙ্গলবার। একাধিক পুলিশকর্মী আহত হন। আগুন ধরানো হয় পুলিশের গাড়িতে। সেই অশান্তি প্রসঙ্গে টুইটারে অভিষেক লিখেছেন, ‘বিজেপির গুন্ডারা আমাদের আনন্দ নগরীতে (সিটি অফ জয়) কী করেছে, শুধু বাংলা নয়, আজ গোটা দেশ তা দেখল। তারা ক্ষমতায় এলে কী করত, কল্পনা করলে কেঁপে উঠতে হয়। তাদের প্রত্যাখ্যান করার জন্য বাংলাকে ধন্যবাদ। এখন ভারতের সময় এসেছে, তাদের প্রত্যাখ্যান করার।’
Today, not just Bengal but the nation saw a glimpse of what @BJP4Bengal hooligans are capable of doing to our City of Joy.
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) September 13, 2022
We shudder to imagine what they would’ve done had they come to power.
WB, thank you for rejecting them!
Now, it’s TIME FOR INDIA TO REJECT THEM! pic.twitter.com/zH7IZnEoK1
মঙ্গলবার বিকেলে নবান্ন অভিযান ঘিরে অশান্তির সময় কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের অদূরে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরানো হয়। টুইটারে ওই ঘটনার একটি ভিডিয়ো (আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি) পোস্ট করেছেন অভিষেক। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির পতাকা নিয়ে কয়েক জন ব্যক্তি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরাচ্ছে।
বিজেপির অভিযানের কারণে হাওড়া এবং গোটা কলকাতা পুলিশে ছয়লাপ থাকলেও লালবাজারের নিরাপত্তা তুলনায় ঢিলেঢালা ছিল বলে পদ্ম-শিবিরের একটি সূত্রের খবর। তারই সুযোগ নিয়ে বিজেপির কিছু নেতা-কর্মী মঙ্গলবার বিকেলে যান লালবাজারের দোরগোড়ায়। এই সময়ই খবর পাওয়া যায়, রবীন্দ্র সরণি ও মহাত্মা গাঁধী রোডের সংযোগস্থলের কাছে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছে। অন্য দিকে, মঙ্গলবার দুপুরে মহাত্মা গাঁধী রোডের কাছে বিজেপি কর্মীরা কলকাতা পুলিশের এসি (অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার) পদমর্যাদার এক আধিকারিককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেন বলেও অভিযোগ।