(বাঁ দিক থেকে) দেব, মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহান। —গ্রাফিক সনৎ সিংহ।
তাঁরা তারকা। তাঁরা সাংসদও বটে। এক জন, ঘাটালের। অন্য জন, যাদবপুরের। এক জনের নাম দীপক অধিকারী। যাঁকে গোটা বাংলা চেনে দেব নামে। অন্য জন, মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে যখন দিল্লিতে ধুন্ধুমার বাধিয়েছে তৃণমূল, তখন সোমবার রাজঘাটের কর্মসূচিতে দেখা গেল না দেব আর মিমিকে। কিন্তু আর এক তারকা, বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান রুহিকে দেখা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে।
দেব, মিমি কি যাননি? রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘আমি ওঁদের দেখিনি।’’ নুসরত? তাঁর জবাব, ‘‘হ্যাঁ, নুসরতকে দেখেছি।’’ বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি নুসরতকে দেখেছি। ওঁর সঙ্গে কথাও বলেছি। তবে দেব, মিমিকে আমি দেখিনি।’’ তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘নুসরতকে দেখেছি। কিন্তু দেব আর মিমিকে দেখতে পাইনি। তবে আমি দেখতে পাইনি মানে তাঁরা যাননি তেমনটা নয়।’’
দেবের অফিসের তরফে বলা হয়েছে, তিনি তাঁর আগামী ছবি ‘বাঘাযতীন’-এর প্রচার নিয়ে ব্যস্ত। অন্য একটি ছবির শুটিংয়ের কাজও চলছে। আর সূত্রের খবর, মিমিও তাঁর পরবর্তী ছবি ‘রক্তবীজ’-এর প্রচারে ব্যস্ত।
তবে রাজঘাটে নুসরতের উপস্থিতি চোখ টেনেছে অনেকেরই। কারণ নায়িকা-সাংসদকে সম্প্রতি ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। দলও নুসরতের বিষয়টিকে তাঁর ব্যক্তিগত বিষয় বলে উল্লেখ করেছিল। অর্থাৎ, নুসরতকে ইডি-র তলবকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দেখায়নি তৃণমূল। তার পরেও নুসরতের দলের কর্মসূচিতে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।