Monsoon in West Bengal

বর্ষা এল রাজ্যে, সময়ের প্রায় ছ’দিন আগে, শেষ কবে মে মাসে প্রবেশ করেছিল মৌসুমি বায়ু?

এমনিতে ৬ জুন উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে। গত বছর, ২০২২ সালের ১২ জুন রাজ্যে প্রবেশ করেছিল বর্ষা। এ বার মে মাসের শেষ দিন, শুক্রবার রাজ্যে প্রবেশ করল বর্ষা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৪ ২০:২৪
image of rain

রাজ্যে প্রবেশ করেছে বর্ষা। — ফাইল চিত্র।

অপেক্ষার অবসান! পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। সময়ের থেকে ছ’দিন আগে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, শুক্রবার উত্তরবঙ্গের অনেকাংশে প্রবেশ করেছে মৌসুমি বায়ু। এর আগে ২০০৯ সালে শেষ বার রাজ্যে মে মাসে প্রবেশ করেছিল বর্ষা।

Advertisement

এমনিতে ৬ জুন উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে। গত বছর ১২ জুন রাজ্যে প্রবেশ করেছিল বর্ষা। এ বার মে মাসের শেষ দিন, শুক্রবার রাজ্যে প্রবেশ করল বর্ষা। এর আগে ২০০৯ সালের ২৫ মে রাজ্যে প্রবেশ করেছিল বর্ষা। ২০০৬ সালে বর্ষা এসেছিল ২৭ মে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, এ বছর রেমালের কারণে একটু আগেই বর্ষা প্রবেশের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। বর্ষা প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেক বিষয়ের ভূমিকা রয়েছে। তার মধ্যে এ বছর অন্যতম ভূমিকা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে এখন কয়েক দিন ভারী বৃষ্টি চলবে। রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে। এর মধ্যে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, এই দুই জেলায় বৃষ্টি চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। বৃষ্টি হতে পারে ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বৃষ্টি হতে পারে শনিবার।

পশ্চিমবঙ্গে যখন বর্ষা প্রবেশ করেছে, তখন উত্তর, পশ্চিম এবং মধ্য ভারত পুড়ছে গরমে। চলছে তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বিহারে গত ৪৮ ঘণ্টায় গরমে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। তাঁদের মধ্যে ১০ জন ভোটকর্মী। এই গরমের মরসুমে ওড়িশায় ১০ জন, ঝাড়খণ্ড এবং রাজস্থানে পাঁচ জন করে মারা গিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে এক জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর আগে, দিল্লিতে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল বিহারের এক বাসিন্দার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁর জ্বর হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement