Shishir Adhikari and Dilip Ghosh

দিলীপ ও শিশির মুখোমুখি, জল্পনা

এ দিন এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির সদস্য নির্বাচন ছিল। এই পঞ্চায়েত সমিতির একাংশ মেদিনীপুর ও কাঁথি লোকসভা নির্বাচনী এলাকার মধ্যে পড়ে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
এগরা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ০৭:৩৪
An image of TMC leader Shishir Adhikari and BJP leader Dilip Ghosh

হাতে-হাত: এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের সামনে (বাঁ দিকে) শিশির অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।

যুযুধান দুই প্রবীন নেতা এসেছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির সদস্য নির্বাচনে। সেই দুই সাংসদ নেতা শিশির অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষের সৌজন্য সাক্ষাৎ ঘিরে চলল দিনভর জল্পনা। গেরুয়া শিবিরের তরফে এমনও রটনা রটল যে, কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশিরবাবু দিলীপের সঙ্গে যেতে পারেন গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক বৈঠকে। তবে ওই জল্পনা সত্যি না হলেও এ দিন এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির সদস্য নির্বাচনের শিশিরবাবু বিজেপি নেতৃত্বকে সমর্থন করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের।

Advertisement

এ দিন এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির সদস্য নির্বাচন ছিল। এই পঞ্চায়েত সমিতির একাংশ মেদিনীপুর ও কাঁথি লোকসভা নির্বাচনী এলাকার মধ্যে পড়ে। সেই মতো এ দিন নির্বাচনে অংশ নিতে আসেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে কাঁথি লোকসভারও কিছু অংশ সমিতির আওতাধীন। ওই লোকসভার সাংসদ তৃণমূলের শিশির অধিকারী। দুপুরেই শিশিবাবু পৌঁছে যান ভোট দিতে। সে সময় তাঁর গাড়ি দেখে বালিঘাই বাজারে তৃণমূল কর্মীরাই ‘চোর চোর’ স্লোগান দেন। তবে দলের কর্মীদের কাছে এমন ব্যবহার পেলেও তিনি উষ্ণ অভ্যর্থনা পান বিজেপি সাংসদ দিলীপের কাছ থেকে। এ দিন দু’জনকে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় হাত মেলাতে দেখা যায়। এক অন্যের খোঁজ নেন শারীরে অবস্থারও।

এ ব্যাপারে দিলীপ বলেন, ‘‘উনি প্রবীন সাংসদ। ওঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছি। এতে রাজনীতির কিছু নেই।’’ যদিও শিশিরবাবু এ দিন রাজ্য সরকারেরই সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘২৩২ কোটি টাকা বরাদ্দের পর দরপত্র হলেও শুধুমাত্র অধিকারীরা এই রাস্তায় যায় বলে রাস্তা করবে না। এগরা-কাঁথি সড়কে ১৩৩ কোটি টাকা ও এগরা বাইপাস, সাতমাইলে কংক্রিটের পুল সব ড্রপ করে দিয়েছে এই সরকার।’’

শিশিরবাবু রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সমালোচনা করলেও তাঁর দলের স্থানীয় নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন, ভোটে শিশিরবাবু বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে, পাঁচটি স্থায়ী সমিতির ভোটে বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ২০টি ভোট। তৃণমূল পেয়েছে ১৯টি। হিসেব মতো শিশিরের ভোট তৃণমূলে না গিয়ে বিজেপিতে গেলেই এই ফল হওয়ার কথা। যদিও এ ব্যাপারে শিশির বলেছেন, ‘‘ভোট দেওয়াটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার।’’

সমিতির শিশু ও নারী উন্নয়নে স্থায়ী সমিতি ভোটে শিশিরবাবু ব্যালট পেপারে পাঁচজনের পরিবর্তে ভুলবশত ছ’জনকে ভোট দিয়ে দেন। পরে তিনি একটি ভোট পেন দিয়ে বাতিল করে ব্যালট জমা দেন। উনি প্রবীন সাংসদ বলে ওই ব্যালট গ্রহণ করেন বিডিও। কিন্তু কেন সেটি বাতিল করা হল না, সেই দাবিতে তৃণমূল বিধায়ক তরুণ মাইতির নেতৃত্বে তৃণমূলের সদস্যরা পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন। তরুণ বলেন, ‘‘এই ব্যালট বাতিলের দাবিতে আমরা ভোট বয়কট করেছি।’’ যদিও বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক তন্ময় হাজরা বলেন, ‘‘তৃণমূল হেরে যাওয়ার ভয়ে অজুহাত দেখাচ্ছে। ওরা তিনটি কমিটি গঠনে ভোটে অংশগ্রহণ করেনি।

আরও পড়ুন
Advertisement