Chhatradhar Mahato

ঘরে ফেরা ছত্রধরের অবস্থান নিয়ে জল্পনা

এনআইএ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে লালগড়ের আমলিয়া গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন ছত্রধর।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:২৩
অনিল মণ্ডলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছত্রধরের।

অনিল মণ্ডলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছত্রধরের। নিজস্ব চিত্র।

ঝাড়গ্রাম: জেলা কমিটির সভায় ডাক পেয়েও এড়িয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো। ছত্রধরকে সংবর্ধনা জানানোর উদ্দেশ্যেই তাঁকে সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে খবর। সেখানে তাঁর অনুপস্থিতি উস্কে দিচ্ছে নানা জল্পনা। সূত্রের খবর, পরবর্তী জেলা কমিটির বৈঠকে তাঁকে ডাকা হবে কি না শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জানতে চাইবে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।

Advertisement

এনআইএ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে লালগড়ের আমলিয়া গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন ছত্রধর। গত ১৭ নভেম্বর কলকাতা থেকে ফেরার পথে পুরনো সাথীরা এবং তৃণমূলের একাংশ ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছত্রধরকে ঝাড়গ্রাম জেলার নানা জায়গায় বিপুল সংবর্ধনা দিয়েছেন। তবে দলের জেলা নেতৃত্বের উদ্যোগে ছত্রধরকে স্বাগত জানানোর কোনও কর্মসূচি ওইদিন হয়নি। সূত্রের খবর, ছত্রধর এনআইএ মামলা থেকে অভিযোগমুক্ত হলেও আইন-বিচারের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অতি সক্রিয়তা দেখানোটা এখনই উপযুক্ত সময় নয় বলেই মত জেলা নেতৃত্বের একটি বড় অংশের। তবে ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দলের একাংশ নেতা-জনপ্রতিনিধিদের ব্যক্তিগত আয়োজনে ছত্রধরকে স্বাগত জানানোর বিষয়টি দৃষ্টিকটূ ঠেকায় গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) লোধাশুলির পথসাথী ভবনে জেলা কমিটির বৈঠকে ছত্রধরকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। সূত্রের খবর, জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু নিজেই ছত্রধরকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু তারপরও ছত্রধর যাননি। দুলাল বলেন, ‘‘প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদককে জেলা কমিটির সভায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি আসতে পারেননি।’’ কেন গেলেন না? ছত্রধর বলছেন, ‘‘সভার বিষয়ে আগাম খবর ছিল না। বৃহস্পতিবার যখন আমন্ত্রণ পাই, তখন আমি ব্যক্তিগত কাজে অন্যত্র বেরিয়ে গিয়েছিলাম। তাই যেতে পারিনি। তাছাড়া ওই সভায় আমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে সেটাও জানতাম না।’’ তা হলে কি আপাতত জেলায় দলের থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন ছত্রধর? সূত্রের খবর, জেলায় শাসকদলের একাংশ ছত্রধরকে গুরুত্ব দিতে চান না। অন্যদিকে, ছত্রধরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, জঙ্গলমহলের এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বাম আমলে ছত্রধরের নেতৃত্বাধীন জনসাধারণের কমিটির আন্দোলনের ফলে।

আরও পড়ুন
Advertisement