Medical negligence in Medinipur

অবশেষে ভুল সংশোধন! বাবার মৃত্যুতে ছেলের নামে ডেথ সার্টিফিকেট ফিরিয়ে নতুন শংসাপত্র জারি

বাবার মৃত্যুর পর যে ডেথ সার্টিফিকেট লেখা হয়েছিল তাতে নাম ছিল ছেলের। তা নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে হইচই পড়ে যায়। অবশেষে সঠিক নামে ডেথ সার্টিফিকেট জারি করল হাসপাতাল।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:১৪
representational image

— প্রতীকী ছবি।

মারা গিয়েছেন বাবা। অথচ, ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছিল ছেলের নামে! আনন্দবাজার অনলাইনে এই খবর প্রকাশের পরেই নড়েচড়ে বসেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে ভুল সংশোধন করে অনলাইনে তুলে দেওয়া হয় মৃত্যুর সঠিক শংসাপত্র। হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত রাউত বলেন, ‘‘বিষয়টি নজরে আসার পরেই কোথায় ভুল হয়েছিল তার খোঁজ নেওয়া হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে ভুল সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। এবং এ খবর মৃতের ছেলে বলরাম নন্দীকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement
Image of the correct death certificate

‘সঠিক’ মৃত্যু শংসাপত্র। — নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আধার কার্ড দেখালেই তাঁকে বাবার মৃত্যু শংসাপত্রের প্রতিলিপি দিয়ে দেওয়া হবে। তা ছাড়াও বলরাম চাইলে নিজে থেকেই তা ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। বলরাম নন্দী বলেন, ‘‘বাবার ডেথ সার্টিফিকেটের জায়গায় আমার নাম ছিল। বিষয়টি দেখতে পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই। আজ (সোমবার) ভুল সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার হাসপাতালে যাব বাবার ও আমার আধার কার্ড নিয়ে। ভুল সার্টিফিকেটটি ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছি।’’

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কমরগঞ্জের বাসিন্দা উত্তম নন্দী। পেশায় কৃষক ৫৪ বছরের উত্তমের পরিবার স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে নিয়ে। উত্তমের পরিবার সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর দুপুরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। বিষপান করেছিলেন তিনি। সে দিনই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান প্রৌঢ়। পরে দেখা যায় মৃত্যুর শংসাপত্র ইস্যু করা হয়েছে মৃত উত্তমের ছোট ছেলে বলরামের নামে। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। আনন্দবাজার অনলাইনে সেই খবর প্রকাশিত হয়। তার পরেই নড়েচড়ে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন
Advertisement