Life Imprisonment

প্রতিবেশীকে অ্যাসিড ছুড়ে খুন! ১৯ বছর পর আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল ঘাটালের কোর্ট

২০০৪ সালের ২২ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা দাসপুর থানার বড় শিমুলিয়ার গ্রামের বাসিন্দা রতন সামন্তের গায়ে অ্যাসিড ছোড়েন তাঁর প্রতিবেশী নন্দ সামন্ত। হাসপাতালে মৃত্যু হয় রতনের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৪১
jail

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। রাগে তাঁর গায়ে অ্যাসিড ছুড়েছিলেন। ১৯ বছর আগের সেই মামলার সাজা ঘোষণা হল মঙ্গলবার। নন্দ সামন্ত নামে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা আদালত।

Advertisement

আদালত সূত্রে খবর, ২০০৪ সালের ২২ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা দাসপুর থানার বড় শিমুলিয়ার গ্রামের বাসিন্দা রতন সামন্তের গায়ে অ্যাসিড ছোড়েন তাঁর প্রতিবেশী নন্দ। রতনের শরীরের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে যায়। চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাঁকে দাসপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। ৫০ দিন চিকিৎসার পর সে বছরের ৯ সেপ্টেম্বর অ্যাসিড হানায় আক্রান্ত রতনের মৃত্যু হয়।

স্বামীর মৃত্যুর পর রতনের স্ত্রী বিভা সামন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন। অ্যাসিড ছুড়ে হত্যা অভিযোগে প্রতিবেশী নন্দ-সহ চার জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ওই মামলা ওঠে ঘাটাল মহকুমা আদালতে। অবশেষে সেই মামলার সাজা ঘোষণা হল মঙ্গলবার।

নন্দকে ৩০৪ এবং ৩২৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুটো ধারাতেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন ঘাটাল মহকুমার আদালতের বিচারক মদনমোহন মিশ্র। এই মামলা নিয়ে সরকারি পক্ষের আইনজীবী তপন ভট্টাচার্য জানান, ২০০৭ সালে থেকে মামলা চলছিল আদালতে। ২০২১ সালে চার জনকে শাস্তি দেন বিচারক। দু’জনকে যাবজ্জীবন এবং দু’জনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ২০২২ সালে হাই কোর্টে যান অভিযুক্তেরা। পরে আবার নিম্ন আদালতে শুরু হয় শুনানি। মঙ্গলবার মোট তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। এঁদের মধ্যে নন্দকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

আরও পড়ুন
Advertisement