Jhargram Municipality

মশা মারতে লোকাভাব, বন্ধ কামান দাগা

ঝাড়গ্রাম শহরের বলরামডিহি এলাকার এক মহিলা ডেঙ্গি আক্রান্ত হন। চিকিৎসার পর তিনি অবশ্য এখন সুস্থ। এরপরই পুরসভা বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
 ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৩ ০৯:৩০
ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় স্প্রে করা হচ্ছে মশানাশক।

ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় স্প্রে করা হচ্ছে মশানাশক। — নিজস্ব চিত্র।

অরণ্যশহরে এক ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই চলতি মাস থেকে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা শুরু করেছে পুরসভা। নভেম্বর পর্যন্ত শহরের প্রতিটি বাড়িতে মাসে দু'বার করে যাবেন সমীক্ষা-কর্মীরা। তবে মশার উৎপাত অবশ্য কমছে না। স্প্রে করার জন্য সরকারি মজুরি বরাদ্দ ১৭৫ টাকা। যেখানে সাধারণ দৈনিক মজুরি এখন ৩০০ টাকা। সূত্রের খবর, এই কারণে সব সময় মশা নাশক স্প্রে করার জন্য লোকজন পাওয়া যাচ্ছে না। পুরসভার অবশ্য দাবি, চলতি মাস থেকে ১৮টি ওয়ার্ডে পালা করে মশা নাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

৫ জুলাই ঝাড়গ্রাম শহরের বলরামডিহি এলাকার এক মহিলা ডেঙ্গি আক্রান্ত হন। চিকিৎসার পর তিনি অবশ্য এখন সুস্থ। এরপরই পুরসভা বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ব সহায়ক দলের সদস্য ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ১৪০ জনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে সমীক্ষক দল। সেই দলের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরসাথী কার্ড দিয়ে আসছেন। তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি, জল জমিয়ে যাতে না রাখা হয়, কী কী কারণে মশার বংশবৃদ্ধি হয় এসব বিষয়ে বাসিন্দাদের সচেতনও করছেন তাঁরা। পুরসভার জনস্বাস্থ্য আধিকারিক বংশীধর জানা বলেন, ‘‘ডেঙ্গি সমীক্ষার যে তথ্য উঠে আসবে সেটা স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হবে।’’ তবে শহরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই দাবি করেছেন ওই পুর আধিকারিক।

Advertisement

তবে চিন্তা বাড়ছে মশা নাশক স্প্রে করার লোকাভাব নিয়ে। সূত্রের খবর, বর্তমানে ৩৬ জনকে কাজে লাগিয়ে ঝাড়গ্রাম ১৮টি ওয়ার্ডে মশা নাশক স্প্রে করানো হচ্ছে। তবে সেই সংখ্যা যথেষ্ট নয়। পুরসভার তথ্য বলছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৮টি ওয়ার্ডে পালা করে ৬৬ জন স্পে ম্যানকে কাজে লাগিয়ে মশা মারার কাজ হয়েছিল। সুফলও মিলেছিল। ওই চার বছরে শহরে কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত হননি। কিন্তু গত বছর বরাদ্দের অভাবে কামানও দাগা যায়নি। প্রথমে ১৮ জনকে দিয়ে মশা নাশক স্প্রে করানো হয়েছিল। পরে সংখ্যাটা বাড়িয়ে ৩৬ হয়। এবারও সেই সংখ্যাই রয়েছে। এবারও কামান দাগা হয়নি।

গত বছর এই শহরে ২৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল। পুর কর্তৃপক্ষ মানছেন, বরাদ্দের অভাবে মশা নির্মূল কর্মসূচি গত বছর ঠিকমত হয়নি। সেই কারণেই গত বছর শহরে ডেঙ্গি ছড়িয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। পুরপ্রধান কবিতা ঘোষ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সপ্তাহে চারদিন মশানাশক স্প্রে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement