Ghatal tragedy

একরত্তির শারীরিক ‘ত্রুটি’ না পসন্দ! দেড় মাসের মেয়েকে ছুড়ে ঝুমি নদীতে ফেললেন বাবা, মা

শিশুকন্যার খোঁজে সকাল থেকেই নদীতে জাল ফেলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি। ঝুমি নদীতে ডুবুরি নামানোর ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা চলছে পুলিশমহলে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:০১
Image of the search in the Jhumi river in ghatal

জাল ফেলে ঝুমি নদীতে চলে তল্লাশি। — নিজস্ব চিত্র।

জন্ম থেকেই ঠোটের অংশটি কিছুটা কাটা মেয়ের। তা নাপসন্দ মা, বাবার। তাই দেড় মাসের ছোট্ট মেয়েকে নদীতে ছুড়ে ফেলে দিলেন তাঁরা। চোখ কপালে তোলা ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের। পুলিশ অভিযুক্ত মা এবং বাবাকে গ্রেফতার করেছে। নদীতে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি জারি। কিন্তু দেড় মাসের সন্তানের এখনও খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

ঘাটালের মনসুকা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রামচক গ্রামের ঘটনা। জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার ওই গ্রামের খোকন হাজরা নামে এক ব্যক্তি তাঁর তৃতীয় কন্যা সন্তানকে ঝুমি নদীর জলে ছুঁড়ে ফেলে দেন। কন্যার ‘দোষ’ ছিল, জন্ম থেকেই তার ঠোঁট কাটা। বৃহস্পতিবার আইসিডিএস কর্মীরা খোকনের বাড়িতে শিশুটিকে টিকা দিতে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, শিশু আর নেই! আঁৎকে উঠে তখনই আইসিডিএস কর্মীরা গ্রাম পঞ্চাতের প্রধানকে বিষয়টি জানান। কিছু ক্ষণের মধ্যে ঘাটাল থানার ওসি শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় পৌঁছন অকুস্থলে। শিশুকন্যার সন্ধানে ঝুমি নদীতে জাল ফেলে তল্লাশি চালায় ঘাটাল থানার পুলিশ। সকাল থেকে জাল ফেলে তল্লাশি চালালেও সন্ধান মেলেনি। নদীতে ডুবুরি নামানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতেই আটক করা হয় শিশুর বাবা, মাকে। স্থানীয়েরা জানান, খোকন পেশায় রাজমিস্ত্রি। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বাবা, মা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরাই মেয়েকে নদীর জলে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ওসি পুলিশবাহিনী নিয়ে এলাকায় গিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে বাবা ও মা নদীর জলে কন্যাসন্তানকে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের শুক্রবার তোলা হয় ঘাটাল মহকুমা আদালতে। তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

আরও পড়ুন
Advertisement