Land Encroachment

পুরনো নালিশের তদন্তের মধ্যে জমি দখলের চেষ্টা

রাস্তার ধারে বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ওই সরকারি জমিতে এলাকার উন্নয়ন না করে ব্যক্তিগত সম্পদ তৈরির অভিযোগ সামনে আসতেই তৈরি হয়েছে ক্ষোভও।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দ্রকোনা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৫
চন্দ্রকোনা পুরসভার গোঁসাই বাজারে এই জমি ঘিরেই বিতর্ক।

চন্দ্রকোনা পুরসভার গোঁসাই বাজারে এই জমি ঘিরেই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।

চন্দ্রকোনা পুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি জমি ও কবরস্থান দখলের অভিযোগে তদন্তে নামল পুলিশ। আর সমান্তরাল ভাবে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বহুমূল্য আরেকটি সরকারি জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ সামনে এল।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমি দখল নিয়ে কড়া বার্তার পরই ওই কবরস্থান-সহ কিছুটা খাসজমি দখল নিয়ে শোরগোল পড়ে। ঘটনায় চন্দ্রকোনার তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতার মদতের অভিযোগও উঠেছে। দিন দুয়েক আগে স্থানীয়দের একাংশ সেই কবরস্থান পুনর্দখল করে জেলা পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই এলাকায় গিয়ে এ বার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কোথায় কত জমি দখল হয়েছে, ভূমি দফতরকে দিয়ে তার খোঁজখবরও শুরু করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় জড়িতদের নাম সংগ্রহও শুরু হয়েছে বলে খবর।

চন্দ্রকোনা পুর শহরে বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া সরকারি ওই খাস জমি, কবরস্থান দখলের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। কারচুপি করে কবরস্থান ও সরকারি খাস জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে বিক্রির ঘটনায় হতবাক শহরের বাসিন্দারা।রাস্তার ধারে বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া ওই সরকারি জমিতে এলাকার উন্নয়ন না করে ব্যক্তিগত সম্পদ তৈরির অভিযোগ সামনে আসতেই তৈরি হয়েছে ক্ষোভও। স্থানীয়দের একাংশ কবরস্থানের এলাকা নির্দিষ্ট করে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন। বাকি সরকারি জমি উদ্ধারের দাবিও।

এর মধ্যেই চন্দ্রকোনা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কংসাবতী জলপ্রকল্পের পাশে আরও একটি ফাঁকা সরকারি জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সেখানেও চুপিসাড়ে জমির একাংশে মাটি ফেলে সমান কর হচ্ছিল। একটি ডোবাও ভরাট করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। ওই জমিতে বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা ছিল বলে খবর। জানা গিয়েছে, চন্দ্রকোনা শহরের এক বাসিন্দা সরকারি ওই জমি লিজ়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু কী ভাবে সরকারি জমির লিজ় হয়, সেই প্রশ্ন তুলে স্থানীয়রা পুলিশ-প্রশাসনে অভিযোগ জানান। সেই সঙ্গে শহর জুড়ে বেদখল সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের দাবিও উঠেছে।

গত শনিবার ওই কবরস্থানে গিয়েছিল পুলিশ। ঘাটালের মহকুমা পুলিশ অফিসার অনিমেষ সিংহ মহাপাত্র, চন্দ্রকোনা থানার ওসি শুভঙ্কর রায়-সহ পুলিশ আধিকারিকরা ওই জমি পরিদর্শন করেন। তারপর ভূমি দফতরকে নিয়ে মাপজোক করিয়ে ওই জমি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভূমি দফতরের পক্ষ থেকেও শুরু হয়েছে তদন্ত।পাশাপাশি ৫ নম্বর ওয়ার্ডে জমি দখলের অভিযোগেরও তদন্ত শুরু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “ চন্দ্রকোনায় সরকারি জমি ও কবরস্থান দখলের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। সরকারি জমি চিহ্নিত করে তা পুনরুদ্ধার করা হবে। জমির শ্রেণি পরিবর্তন-সহ গোটা ঘটনায় জড়িতদের কড়া ব্যবস্থা নেওয় হবে।”

আরও পড়ুন
Advertisement