বীরেন্দ্র শাসমল সেতুর উপর শুধুমাত্র ছাড় দেওয়া হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স চলাচলে। —নিজস্ব চিত্র।
৯৬ ঘণ্টার জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকবে মেদিনীপুর এবং খড়্গপুরের মাঝের সংযোগকারী বীরেন্দ্র শাসমল সেতু। গত মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদরী এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে সেতুটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সেতুর ভার বহন পরীক্ষা (লোড টেস্ট)-র কাজ করা হবে। তাই এই সিদ্ধান্ত। সেতুর উপর দিয়ে সব রকম যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পথচারীরাও যাতায়াত করতে পারবেন না। শুধুমাত্র অ্যাম্বুল্যান্সকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ-প্রশাসনের দাবি, ভোগান্তি এড়াতে আগাম পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ওই নির্দেশিকা কার্যকর হয়েছে। আগামী সোমবার অর্থাৎ ২১ অগস্ট রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ চলবে। জেলাশাসক বলেন, “সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ভারী যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। লোড টেস্টিংয়ের কাজ করা হবে। বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করবে গাড়ি। ৯৬ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে ওই সেতু।’’
পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, “জরুরি ভিত্তিতে শুধু অ্যাম্বুল্যান্স চলবে ওই ব্রিজ দিয়ে। খড়গপুর-মেদিনীপুর শহরের যোগাযোগের জন্য কাঁসাই নদীর উপর সাঁকো, নৌকার ব্যবহার করতে পারবেন মানুষজন। কলকাতা বা পূর্ব মেদিনীপুর থেকে যারা মেদিনীপুর আসবেন তাঁদের মেছোগ্রাম থেকে দাসপুর হয়ে যাতায়াত করতে হবে।”
কংসাবতী নদীর উপর তৈরি বীরেন্দ্র সেতু মেদিনীপুর-খড়্গপুর সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কএর উপরে এই সেতু। সেতু পুরোপুরি বন্ধ রেখে কাজ করার জন্য জেলা স্তরে বৈঠকও হয়েছিল। গত ৭ অগস্ট চিঠি দিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ৯৬ ঘণ্টা সময় চেয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে তারা সেতুটি কতটা ওজন বা লোড নিতে পারবে তার পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবেন। সেই মর্মে জেলাশাসক ওই নির্দেশিকা জারি করেন। খড়গপুর-মেদিনীপুরের যোগাযোগকারী একমাত্র রাস্তা এই সেতু।