Crocodile

Crocodile: ধুবুলিয়ায় উদ্ধার আট ফুটের মগর ছাড়া হল ফরাক্কায়, সাহায্যে সুন্দরবনের বনকর্মীরা

বন দফতর সূত্রের খবর, ধুবুলিয়ার বলাইনগর শিমুলতলার ছাড়িগঙ্গায় দিন তিনেক আগে কুমিরটিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২২ ১৬:৫২
উদ্ধার হওয়া কুমির।

উদ্ধার হওয়া কুমির। নিজস্ব চিত্র।

কৃষ্ণনগরের কাছে ধুবুলিয়ার বলাইনগর খাল থেকে উদ্ধার হওয়া সাত ফুট লম্বা একটি কুমিরকে বৃহস্পতিবার রাতে ফরাক্কা বাঁধের কাছে গঙ্গায় ছাড়া হল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের ভগবতপুর কুমির প্রকল্পের কর্মীদের সহায়তায় সেটিকে গভীর জলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বন দফতর সূত্রের খবর, ধুবুলিয়ার বলাইনগর শিমুলতলার ছাড়িগঙ্গায় দিন তিনেক আগে কুমিরটিকে প্রথম দেখা গিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে কুমিরটি দেখতে পেয়ে বন দফতরে খবর দেন। বুধবার কুমিরটিকে সুন্দরবনের ভগবৎপুর কুমির প্রকল্পের কর্মীদের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়েছিল।

Advertisement

ভগবতপুরের রেঞ্জ অফিসার তন্ময় চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি প্রায় ৮ ফুট লম্বা একটি মিষ্টি জলের কুমির (মগর বা মার্শ ক্রোকোডাইল)। পুরুষ কুমিরটির বয়স আনুমানিক ছ’-সাত বছর। এই প্রজাতির কুমির সাধারণত মিষ্টি জলের নদী, খালে বা জলাশয়ে থাকে। মাছ, কচ্ছপ ও জলের ছোটো ছোটো প্রাণীরা এদের খাদ্য। প্রয়োজনে বড় প্রাণীকেও খেয়ে থাকে। তিনি জানান, ব্রিটিশ জমানার পরে দীর্ঘ দিন পশ্চিমবঙ্গে এদের দেখা মেলেনি। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক বার গঙ্গায় মগরের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতায় গঙ্গা থেকে একটি মগর উদ্ধার করেছিলেন তাঁরা।

গত শীতের শুরুতেই মুর্শিদাবাদের আহিরণ থেকে শুরু করে নদিয়ার পলাশী পর্যন্ত গঙ্গার গতিপথে বেশ কিছু ঘাটের আশপাশে কুমির দেখা গিয়েছিল। ফলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। বেশ কয়েকটি কুমির উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে ছাড়াও হয়েছিল। প্রাণীবিদ বলাইচন্দ্র দে জানিয়েছেন, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে গঙ্গার মধ্য অববাহিকায় মগরের বসবাস রয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement