হুইলচেয়ারে মমতা। —ফাইল চিত্র।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকেই অস্ত্রোপচার (প্রসিডিওর) হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সোমবার দুবরাজপুরের সভায় মোবাইলের মাধ্যমে ভাষণ দেওয়ার সময়েই তিনি নিজের অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, এসএসকেএমেই হবে সেই ‘প্রক্রিয়া’। তার জন্য বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার ভর্তি হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২৭ জুন উত্তরবঙ্গে হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের সময়ে বাঁ পা ও কোমরে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। তড়িঘড়ি তাঁকে এসএসকেএমে আনা হয়। সেখানে ফিজ়িক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক রাজেশ প্রামাণিক ও রেডিয়োলজির প্রধান চিকিৎসক অর্চনা সিংহের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু হয়। এমআরআই-এ দেখা যায়, বাঁ হাঁটুর লিগামেন্ট ও হিপজয়েন্টের লিগামেন্টে চোট রয়েছে। বাঁ হাঁটুতে জল জমার চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসকেরা হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দিলেও তাতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী। বরং তিনি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন, হাঁটাচলা নিয়ন্ত্রণে রেখে বাড়িতেই তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এর পর থেকে বাড়িতেই নিয়মিত মুখ্যমন্ত্রীর ফিজ়িয়োথেরাপি শুরু হয়েছে। প্রতি দিন চার ঘণ্টা করে চলছে ওই থেরাপি। এসএসকেএম থেকে ফিজ়িয়োথেরাপিস্ট প্রতি দিন বাড়িতে গিয়ে সেই থেরাপি দিচ্ছেন। চিকিৎসকেরাও তাঁকে কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করছেন।
সূত্রের খবর, ফিজ়িয়োথেরাপিতে কিছুটা স্থিতিশীল হওয়ার পরেই হাঁটুতে জল জমা ও লিগামেন্টের চোটের সমস্যা দূর করতে অস্ত্রোপচার (প্রসিডিওর) করার বিষয়ে পরিকল্পনা করছেন চিকিৎসকেরা। সেটি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হলে, তিনিও ওই প্রক্রিয়া করাতে রাজি হয়েছেন বলেই খবর। জানা যাচ্ছে, সে জন্য ভর্তি হলে, হাসপাতালে উডবার্ন ব্লকের সাড়ে বারো নম্বর কেবিনে ভর্তি রাখা হবে তাঁকে। সম্ভবত ভর্তির পরের দিন ওই ব্লকেরই দোতলায় হবে অস্ত্রোপচার। সূত্রের আরও খবর, তা করবেন ফিজ়িক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসকেরা। অস্ত্রোপচারের পরে দিন দুই-তিনেক হাসপাতালে রাখা হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীকে। তার পরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে, নিয়ম মেনে করতে হবে কিছু ব্যায়ামও।