মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কৃষকদের প্রায় এক বছরের আন্দোলনের পর প্রত্যাহার করা হল ২০২০ সালে পাশ হওয়া বিতর্কিত তিন কৃষি আইন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণে কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দেশের কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, এই জয় তাঁদেরই। অনড় মনোভাব দেখানোর পরও কেন্দ্রের শাসকের এই পিছু হঠায় আন্দোলনের জয়ই দেখছেন বিরোধীরা। গণতন্ত্রের জয়ের কথা বলে রাজ্যের শাসকদলের নেতারা খোঁচা দিতে ছাড়েনি কেন্দ্রের শাসকদলকে।
শুক্রবার সকালে করা টুইটে মমতা লিখেছেন, ‘বিজেপি কৃষকদের প্রতি নৃশংস। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত কৃষক নিরন্তর লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেককে আমার হার্দিক অভিনন্দন। এটা আপনাদের জয়। এই লড়াইয়ে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা।’
My heartfelt congratulations to every single farmer who fought relentlessly and were not fazed by the cruelty with which @BJP4India treated you. This is YOUR VICTORY!
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) November 19, 2021
My deepest condolences to everyone who lost their loved ones in this fight.#FarmLaws
মোদী আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করতেই বিজেপি-কে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বর্ষীয়ান এই সাংসদের মতে, এই আইন প্রত্যাহার আসলে দেশের গণতন্ত্রের জয়। তিনি বলেছেন, ‘‘দিল্লি সীমানায় গত বছর থেকে আন্দেলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। বিজেপি সেই আন্দোলন ভাঙার অনেক চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারে নি। এটাই গণতান্ত্রিক শক্তি।’’ এর পরই বিজেপি-র উদ্দেশে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘‘সামনে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়েই বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেন মোদী।’’ সাংসদের অধিবেশনে বিক্ষোভ এড়াতেই আগেভাগে এই ঘোষণা করা হল বলে মনে করেন তিনি।
একই সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের অপর সাংসদ সুখেন্দশেখর রায়ের গলাতেও। তিনিও মনে করেন নির্বাচনের চাপেই বিজেপি-র এই পিছু হঠা। সুখেন্দুশেখর বলেছেন, ‘‘আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের কথা ভেবেই এই সিন্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি হারতে চলেছে তা বুঝতে পেরেই এই সিদ্ধান্ত। দেরিতে হলেও বোধহয়।’’ মোদীর ঘোষণার পরই কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়েই একাধিক টুইট করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। প্রথম টুইটেই তিনি খোঁচা দিয়েছেন তিনি লিখেছেন, ‘অহংকারের হার। অহঙ্কারের হার, অতিরিক্ত গর্ব থেকে ভূপতিত।’ তবে শুধু খোঁচা দিয়েই ক্ষান্ত হননি ডেরেক। তৃণমূলের সাংসদেরা বিভিন্ন সময় এই তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছিলেন। তৃণমূল সাংসদদের ধরনার একটি ছবি বৃহস্পতিবার টুইট করে সে কথা মনে করিয়েছেন ডেরেক।
A million words. pic.twitter.com/Yn1aqZzrHP
— Derek O'Brien | ডেরেক ও'ব্রায়েন (@derekobrienmp) November 19, 2021
কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা হতেই মহুয়া মৈত্রও টুইট করেছেন। সংস্কৃত শ্লোকের আশ্রয় নিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘যেখানে ধর্ম সেখানে জয়।’ মোদী সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ অ্যাখ্য়া দিয়ে জনগণবিরোধী সব নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য় সকল ভারতীয়কে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অপর একটি টুইটে বিজেপি-কে খোঁচা দিয়ে তিনি লিখেছেন, উত্তরপ্রদেশে হারের ভয়েই আইন প্রত্যাহার করে নিল বিজেপি সরকার।
yato dharmastato jaya — where there is dharma, there is victory.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) November 19, 2021
Asking all fellow Indians to take a cue from our brave farmers & stand up to this fascist govt on all anti-people issues.
মমতা, ডেরেকের পর কৃষি আইন প্রত্য়াহার নিয়ে টুইট করেছেন ফিরহাদ হাকিমও। তার মতেও এই জয় কৃষকদের। তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকেও করা হয়েছে একটি টুইট। সেখানে লেখা, ‘জয় কিসান!’
This is the victory of each and every farmer who stood strong in the face of cruelty.
— FIRHAD HAKIM (@FirhadHakim) November 19, 2021
This is the victory of each home that lost a loved one in this fight.
This is the victory of the people against the atrocities of @BJP4India.#FarmLaws #farmlawswithdrawn #FarmersBill https://t.co/9qdqIw498p
Jai Kisan!
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) November 19, 2021