NEET

নিট ইস্যুতে নিন্দা প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়, উঠল ডাক্তারিতে প্রবেশিকার ভার রাজ্যে ফেরানোর দাবি

বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হল নিট ইস্যুতে নিন্দা প্রস্তাব। ব্রাত্য বসু তুললেন রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের হাতে ডাক্তারির প্রবেশিকা ফেরানোর দাবি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪ ১৬:৫৮
West Bengal Assembly passes resolution against NEET in voice vote dgtl

বিধানসভায় পাশ নিট ইস্য়ুতে নিন্দা প্রস্তাব। — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিট প্রশ্নফাঁস বিতর্কে অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার। এ সবের মধ্যেই বুধবার রাজ্য বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হল নিট ইস্যুতে নিন্দাপ্রস্তাব। নিট ইস্যুতে সাম্প্রতিক বিতর্কের আবহে সমালোচনায় সরব হয়েছে একাধিক অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকার। কর্নাটকের মন্ত্রিসভাও নিট ইস্যুতে নিন্দা প্রস্তাবে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে।

Advertisement

বুধবার নিট ইস্যুতে এই প্রস্তাবে তৃণমূলের তরফে বক্তা ছিলেন ব্রাত্য বসু, রফিকুর রহমান, মহম্মদ আলি, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা। বিজেপির তরফে ছিলেন শঙ্কর ঘোষ, অশোক লাহিড়ি, নীলাদ্রিশেখর দানা, অরূপ দাস, বিশ্বনাথ কারক ও দীপক বর্মণ। আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকিও ছিলেন বক্তার তালিকায়।

নিট ইস্যুতে বিধানসভায় বক্তৃতার সময় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য দাবি তোলেন যাতে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির বদলে রাজ্যের হাতে আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা। উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় সর্বভারতীয় স্তরে নিট চালু হয়েছিল। বাংলার ক্ষেত্রে তার আগে পর্যন্ত ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিত জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। ব্রাত্য চাইছেন, জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডই আবার ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা নিক।

বুধবার বিধানসভায় ব্রাত্য জানান, ২০১৩ সালে যখন প্রথম নিট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গুজরাটও সেটির বিরোধিতা করেছিল। সেই সময় যে নরেন্দ্র মোদীই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা শঙ্কর ঘোষ আবার পাল্টা বাংলায় শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের কথা তুলে ধরেন বিধানসভায়।

পরে সংবাদমাধ্যমকে ব্রাত্য বলেন, “নিট পরীক্ষা নিয়ে যে পরিমাণ অভিযোগ, অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে, তাতে গোটা দেশ আলোড়িত হয়েছে। এটি একটি ভয়াবহ ঘটনা। এটাই বিধানসভায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল।”

উল্লেখ্য, নিট প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে এই মামলায়। এ ছাড়া সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার আগেই বিহার, রাজস্থান-সহ বেশ কিছু রাজ্যে স্থানীয় পুলিশও একাধিক জনকে গ্রেফতার করেছে। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় ত্রুটির ‘নৈতিক দায়’ স্বীকার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও।

আরও পড়ুন
Advertisement