R G Kar Medical College And Hospital Incident

শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শেষ হতেই বিধাননগরে শুরু ভাঙচুর

গভীর রাতে আর জি করে ভাঙচুরের ঘটনার পরে কলকাতার অনেক জায়গার মতো বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন ওই সব এলাকার চিত্রও বদলে গেল।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৩২
রাস্তায় ব্যারিকেড ফেলে দিচ্ছে উত্তেজিত জনতা।

রাস্তায় ব্যারিকেড ফেলে দিচ্ছে উত্তেজিত জনতা। —নিজস্ব চিত্র।

শুরু হয়েছিল শান্তিপূর্ণ জমায়েত দিয়ে। কিন্তু শেষ হল ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলায়।
আর জি কর-কাণ্ডে সুবিচারের দাবিতে রাজ্য তথা দেশ জুড়ে বুধবার মহিলারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। তাতে শামিল হয়েছিলেন বাগুইআটি, কেষ্টপুর, লেক টাউন-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মহিলারা। কিন্তু, গভীর রাতে আর জি করে ভাঙচুরের ঘটনার পরে কলকাতার অনেক জায়গার মতো বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন ওই সব এলাকার চিত্রও বদলে গেল।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মহিলাদের আন্দোলন তখন শেষ হয়ে গিয়েছিল। সিংহভাগ আন্দোলনকারী মহিলা তত ক্ষণে ফিরে গিয়েছেন। সেই সময়ে হঠাৎই কেষ্টপুর, জোড়া মন্দির, দশদ্রোণের মতো এলাকা এক দল বিক্ষোভকারীর দখলে চলে যায়। তাঁরা অনেকেই মত্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছেন বলে দাবি করেন তাঁরা। বুধবার রাতে মহিলাদের আন্দোলন ঘিরে এমনিতেই ভিআইপি রোড ও বাগুইআটি উড়ালপুলে যানজট তৈরি হয়েছিল। বহু মানুষ দেড়-দু’ঘণ্টা গাড়িতে বসে ছিলেন। সেই জটে আটকে পড়েন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। এক সময়ে তিনি গাড়ি থেকে নেমে জমায়েতে আসা মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেন। আন্দোলনকারীরা নানা রকম প্রশ্ন করেন চন্দ্রিমাকে। চন্দ্রিমা আন্দোলনকারীদের জানান, তিনিও দোষীদের শাস্তি চান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তিনি জমায়েত সরিয়ে বেরিয়ে যান।

সূত্রের খবর, এর খানিক বাদেই ধীরে ধীরে রাস্তার দখল নেন অন্য এক দল আন্দোলনকারী। যাঁদের রাস্তায় নেমে বাস এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু ইটবৃষ্টি চলতে থাকে। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে উত্তেজনা ছড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ইটের আঘাতে জখম হন পুলিশের একাধিক আধিকারিক। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুন
Advertisement